পৃথিবী আমাকে চিনতে পেরেছে এক-খন্ড রুটির মতো,এক-ঢোঁক জলের মতো,
সময়ের স্পর্শেই অস্তিত্বের পরিচয়;
অথচ রহস্য-আলোক বর্ণিল-ধারায় আমার আশ্চর্য ফুলেরা নতজানু হতে শেখে মাটির কাছে,
শিকড়ের নির্মেদ-শ্রম চলমান নিঃসঙ্গতায় ; মধু-বেদনার শঙ্খধ্বনিও বাজে অনিচ্ছুক ভাবাবেগহীনতায়...
না,অগ্নি- বিদ্যা ফেরতযোগ্য নয়;সংজ্ঞাহারা বাহুপাশ,অতিসূক্ষ্ম শিরায়-বিদ্রোহ ,হৃৎপিন্ডে নৃত্য-ছন্দ-তাল
দেহের শাসনও মানেনা লাল-রক্ত;চোখের পাতায় প্রেমের-শীলমোহর; দৃষ্টিতে বিদ্যুৎ …..
ধ্রুব-ছন্দময়তায় আগ্নেয়গিরি-সীমান্তে জ্ঞানপ্রভাশিখর; পলাতক ছায়ায় শেষবিকেলের রোদ;
তলিয়ে যেতে থাকে সূর্য,ভারসাম্যহারা সাহসী নগ্ন-হাত,রূপ-রূপান্তর-প্রকৃতি যেন বাঙ্ময়!
ওলোটপালোট চন্দ্র-গন্ধী বাতাস,কদর্য-রাত ঘনান্ধকার,ছিনিয়ে নেয় এক মুঠো চঞ্চলতা;  
আছে শুধু কাল-শ্রমিকের এক-খন্ড রুটি......
দুঃখ নেই...
কারণ আমি নীলকান্তমণি ......