(০৮)


শুক্লা-বর্ণা ভোর
-------------------


বেরসিক পাঠক পাওয়া দুষ্কর,
               যদি কাব্যে না থাকে লবণের স্বাদ;
মোহিত-সুশোভিত জগতের পীঠেই
                                    শত শত রহস্যফাঁদ!


জানলে মুক্তি,বুঝলেই মহা গন্ডগোল,
                                            তবু ধাপে ধাপে চলা
পা-বলে কামড়ে ধর মাটি!
                          রসে রসে হোক একটু কথা বলা....


অামার শব্দেরা নয়তো নারকেল,
                                তবু নাকি অাছে শক্ত খোসা!
রসে কস,কসে রস,
             ছন্দে ভুল;তালে-তাল-বেতালে-বেতাল
                            লোকে কয় যায় না ভাই বোঝা!


অামি বলি-শুনো হে ভাই!
           অাত্মবিশ্বাসেই মেলে জ্যোতিহার
           কাব্য-কলা জানে অামি ব্যতিহার;
                         অপত্য-ক্রিয়া তো রূপের সারাৎসার
                     জগতেই থাকুক প্রেমের কাজ-কারবার!


এসেছি অাজ বসুন্ধরা-বাড়ি
          সাজাব কাব্য-কলা,শব্দে শব্দে হবে সংসার
               অাপাত-বিরোধী স্থিতি-কাল-মহাসংহার।


এতোকাল যা পেয়েছি কিবা যা দিয়েছি...
                              তাতেই ঘুচুক বন্ধন-অাড়ি!


কেননা জগত বিভাজ্য,মানুষ গুণিতক
                                  সংখ্যায় সংখ্যায় যোজনী বন্ধন;
অন্তরে অন্তরে সখ্যতা,অাত্মার নাই কোন খন্ডাংশ
                                           অাছে কেবল পরিশোধন!
তাই সংকর হোক অামাদের শুক্লা-বর্ণা ভোর
চলো,চলো, অালোর পীঠেই তুলি জন্মসুর........