“নমস্তে সর্বলোকানাম্ জননীং অব্ধি সম্ভবাম্। শ্রিয়মুন্নিদ্র পদ্মাক্ষীং বিষ্ণু বক্ষঃস্থলস্থিতাম্।”


চোখের পাপড়ি মেলে  ঘনশ্যাম
                      দেখে নেয় বিশ্বের মধুমঞ্জুরী-রঙা রূপ ।
একা একা হেঁটে চলে সুন্দরের কাছে
                      বসে থাকে বিদ্যুৎ লতিকার মূলে।


দুঃখ থাকে নিবিড় ছায়ায়,সুখ আসে সাগরসীমায়
                     জলের ফোঁটায় ভাসে আমাদের শ্যামনগর।
সুন্দরের কাছে ভিক্ষায় হাত পাতে পোড়া হৃদয়
সে একটু নেমে দাঁড়াতে চায় অসম্ভবের কাছে;
ছুঁয়ে দিতে চায়-
                     মৃদু বাতাস
                     শৈশবের মুক্তমাঠ
                     বালিকার ঘুমন্ত মুখ।


অথচ কবি দুঃখ পায়, তাঁর হিম রক্তে আসে তুফান
হাসে নর্দমার কীট্;
সময়ের গতিতে হারায় দিন-মাস- বছর
এমনকি সূর্যটিও যেন হয়ে পড়ে ক্লান্ত!


কিন্তু কেনো?
কারণ আগ্রাসী মানুষের পায়ের তলায় কাঁদে
হেমন্তের ঝরাপাতা।
মায়ের কোল থেকে কেড়ে নিয়ে শিশুকে নিহত করে
থ্যাতলানো হয় তাঁর মায়াভরা মুখ।


পৃথিবীও দুঃখ পায়, অগ্নি স্পর্শ করে বাগানের ফুল
দুরন্ত ঘাসে লাফায় পোকা,
                   বদলায় নদী
                   বদলায় মানুষ
                   সময়ের পীঠে......


তবে আবার জন্ম নিক শত শত ঘনশ্যাম বিশ্বলক্ষীর গর্ভে...
তাঁরা দেখুক বিশ্বের মধুমঞ্জুরী-রঙা রূপ।
তাঁরা জানুক...  
অন্ধকারের ভীড়ে লুকিয়ে থাকে যে মৃত্যু
                 একদিন আলোকিত জন্ম-ই তাকে বাইরে ছুঁড়ে দেয়।