এই তো বেঁচে আছি বেশ--


শিল্পীর চোখে রমণীর ভগ্নাংশ রেখে
                        আগুনের ওষ্ঠে খেলা করে প্রেম।


অদম্য পাহাড়ও কান্নার প্রশ্নকে তুচ্ছ করে
অবিরাম ঝরণা ধারায় বিলিয়ে দেয়
                        দগ্ধ কাঙালের স্নান-শোভা।


               হে আমার পৃথিবী!
এই তো বেঁচে আছি বেশ---


কোটি-কোটি মানুষের পদচ্ছাপ দেখে জেনে নিয়েছি,
                        মৃত্যুর কাছেই আমি অস্ত্রহীন।


দুঃখ নেই,এই তো বেঁচে আছি বেশ----


সুখের স্পন্দন ছন্দ ছুঁয়ে ছুঁয়ে
বেদনার মরা নদীর বাঁকে বাঁকে শুনি
                                     দু'কুল ভাঙার ডাক!


তাই তো ভাসিয়ে দেই মহাকালের ভেলা
                                     শেষ গল্পের ঠিকানায়....


কেউ কি জানে এক জনমে নিজেকে কতটুকু পোড়ানো যায়?


পড়ে থাক যতসব দুঃখের বরমাল্য শ্বেত-জ্যোৎস্নার মায়ায়..


এবার না হয় আলোকবন্যার পুণ্যশ্লোকে;
               অনন্ত আকাশে আদরে আদরে থাক
                                অামার  অসমাপ্ত কবিতার স্বরূপ।


বিশ্বাসেরে প্রণাম দিয়ে উঠে দাঁড়াক স্বপ্ন।


জীবনবৃন্ত থেকে প্রস্ফুটিত হোক
                              দিব্যজ্ঞানের জ্বলন্ত কণা,
অবিনশ্বর চক্রনাভীতে
                      শুরু হয়ে যাক কর্মের শুভসূচনা।


দুঃখ নেই,এই তো বেঁচে অাছি বেশ---


মানুষ আমার নাম          মৃত্যুর ধারেই গড়ি বসত-বাড়ি
আঁধারে ছুঁড়ি কাম           যৌবন পাড়েই রাখি রত্ন-হাঁড়ি।


আরে ভাই----    
বিশ্বাসের কত দাম?       কেউ বাঁচেনা প্রেম-রশ্মি ছাড়ি
সুখে-দুখে ধরাধাম         কেবল দু’পয়সার কাড়াকাড়ি!


এই তো বেঁচে অাছি বেশ----


কোটি-কোটি মানুষের পদচ্ছাপ দেখে জেনে নিয়েছি,
                        মৃত্যুর কাছেই আমি অস্ত্রহীন।