মেয়ে কয়-
বাবা কোথায় যাও? ঘরে এসোনা!
দুটো কথা বলি তোমায়,
বিয়ে দিওনা ঐ ছোকরার সাথে
ধরি তোমার দুটি পা'য়।


বাপ কয়-
তুই ডাঙর হয়েছিস বেটি!
যাবি তুই পরের ঘরে,
পোলার অাছে টাকা অঢেল
থাকবি সোহাগ ভরে।


মেয়ে কয়-
কেনো করো এত অবহেলা?
যাব অামি  ইশকুলে,
দেখবো হাজার জ্ঞানের  অালো
বইয়ের পাতা খুলে।


বাপ কয়-
বেটি, মুখের উপর কেন বলিস কথা?
মহাজনের পোলা অাসবে তোরে  দেখতে;
যাচ্ছি অামি ঐ পোড়াবাড়ির হাটে
পায়েস,মন্ডা মিষ্টি অার কিছু দই কিনতে।


শেষে ধুমধাম করে বাজলো সানাই!
তাই বিয়ের পিঁড়িতে বসে
অামেনার সব স্বপ্ন গেলো ভেঙে
দুটি চোখের জল খসে।


কিছুদিন তার অার হয়নাকো পার!
অাসে যৌতুকের শতো দাবি;
দুঃখে যায় হেঁটে হেঁটে বাপের বাড়ি
হারায় সে জীবন সুখের চাবি।


ইথার/ ১৯৯৯ সাল।
---------------------------------------------------
সতেরো বছর অাগের লেখা অামার একটি কবিতা।হঠাৎ একটি পুরানো খাতা খুঁজে পেয়েছিলাম বইয়ের বস্তায়।এটি খুব ছোটবেলায় লিখেছিলাম।কোন তারিখ দেয়া ছিলোনা।শুধু সাল দেয়া ছিলো ১৯৯৯।অামার বয়স তখন  অাট বছর।যতটুকু মনে পড়ে ছোটবেলায় অামি চার-পাঁচটা কবিতা লিখে মাকে দেখিয়েছিলাম।তারপর অার কবিতা লেখা হয়নি দীর্ঘকাল।অবশ্য ২০১৪ সাল থেকে কবিতা লেখা অাবার শুরু করি।ছোটবেলার সেই কবিতাটি কোন রকম সম্পাদন ছাড়াই  হুবুহ তুলে ধরলাম,শুধু দাঁড়ি-কমা(অর্থাৎ চিহ্নের প্রয়োগ)সম্পাদন করলাম।