দৃশ্য একঃ


দৃষ্টিকোণ
------------
বেদনায় শেষ বিকেলের ঝরা ফুল তাজা হলেই প্রেম সার্থক!
কিন্তু অশ্রুতে নীরব ঢেউ এসে দৃশ্যের কাছে ঋণী হলেই
ক্ষুধা নামক শব্দটি হয়ে যায় মৃত্যুর সমান বড়.......


দৃশ্য দুইঃ


মেঘ-পটল
------------
বোধিসত্ত্বের গর্ভাবক্রান্তি;
                       উত্থানগামিনী বিদর্শনা প্রজ্ঞা, অগ্নি-শিখায় প্রদীপ্ত ।
পঞ্চশাখা মধুক বৃক্ষে স্রোতাপত্তি ফল জ্ঞান-লাভ ;
চর্তুপ্রান্তিক শূন্যতায় রূপস্কন্ধের মাঝে বেদনা-সংজ্ঞা-সংস্কার
                       কাম্যবস্তুতে অনাসক্তিভাব, পুঞ্জিভূত দুঃখ-রাশি।


শুরু হলো কার্য্য-কারণ নীতির পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ
                       আমি যে আমার নই, অন্য কারও......


বায়ুপ্রবাহে মেঘ-পটল
চন্দ্র মেঘাবৃত; নক্ষত্রযোগের প্রতি নত হয় দৃষ্টি
                      আসে ত্রিবিধ ক্লেশান্ধকার।
খুঁজি শিখাপ্রাপ্ত বিদর্শনের মস্তক স্বরূপ অপ্রত্যাবর্তনভূত গোত্রভূজ্ঞান
অন্ধকারকে ছুঁড়ে দিয়ে পেতে চাই নিজ রূপের আস্বাদ,
মুক্তি যেন পায় জন্ম-জন্মান্তরে ভোগ্য অনন্ত সংসার-দুঃখ-মায়া।