বিশ্বের কোটি-কোটি মানুষের অশ্রুজলে চেয়ে দেখেছি অামার ভাঙা খেয়ায় অামিই শেষ যাত্রী........


হৃদয়---------- বিমূর্ত;এক ও অভিন্ন;প্রকাশে বাঙ্ময়;
                  অভিমুখে পাথরের স্বপ্ন ছুঁড়ে দিলেই আগুন জ্বলে,
                         কেবল প্রেমে পড়লেই নীরবে কাঁদে;
                  আঁকে প্রাণের প্রচ্ছদ(পয়সা লাগে না)  


                 প্রেম ?
প্রেম--------- মহাকালের ঔরসজাত।  

অসংখ্য নিহতের জীবাণু বহন করে চলেছে পৃথিবী।


পাপীষ্ঠ,দন্তদংশনে মুছে দেয় অর্ধনারীশ্বরের টিকা....


ঐ ঐ শিশ্নবাহক,নারীমাংসের বাসনায় মৃত্যুর ভেতরে ঢুকে
ওষ্ঠের প্রবঞ্চনায়  মগজে পুষে শকুন দৃষ্টির ব্যপ্তি ।


যৌবন শিরায় প্রেমের নেশাকে ছুরি মেরে
সেঁজুতি সন্ধ্যার নষ্টেন্দুকলার দিওয়ানা বিচ্ছুরণ শেষে
নৈমিত্তিক যৌনতার সর্বাঙ্গসুন্দরে জ্বরাতিসার।


কপালে------------- মৃত ক্যালেণ্ডারের পুনর্জন্ম।


চোখের পাতা---------দৃষ্টির ছাউনিঘর।


চোখ -------------    নষ্টের অভিশাপ নয়তো শুদ্ধতার প্রতীক।


গলা---------------   গীতবিতানের অন্তিম আশ্রয়।


নাভী-------------     মুদ্রাদোষের সভাস্থল।


শিশ্ন-------------      এপারে করেছে ধ্বংস; ওপারে গড়েছে বংশ-কেন্দ্র।


পা-------------- পথের বন্ধু ও মৃত্তিকার বান্ধবী।
(পিপীলিকার মত হাঁটলেই তৈরি হয় মধুর পথ)


অসংখ্য নিহতের জীবাণু বহন করে চলেছে পৃথিবী।


কামের জ্বরে নগ্ন ভাইরাস কেবল ছুটে ছুটে মরে
                                 মাংসাশী শব্দের অভিধানে.....


অতঃপর,জাতিস্মরের পূর্বকাল সংক্রান্তি ভুলে,
জ্যোতির্ময় শতাব্দীর প্রত্যয়ে অসংখ্য জন্মবৃত্তান্ত শুনে
কু-স্থানে মিথুনবিলাসীর অাত্মাহূতি।


পাষণ্ডাচাররত অবিদ্যা-স্বরূপী স্মৃতিতীর্থে অন্ধক-নিগ্রহে হিরণ্য-গর্ভে সঙ্গমেশ্বর।
কেবল কাল-রুদ্রের শব্দ-বক্ষ্ম প্রকাশক বর্ণমালায় সুষস্নানাড়ী অনাহত চক্রে প্রতিভাসিত বিশ্ব-ব্রক্ষ্মাণ্ডের স্থুল-সূক্ষ্ম সোম-সূর্যের সহস্র বহ্নিনেত্রের কৃতাঞ্জলিপুটে গার্হস্থ্য-উপযোগী মহাকালসংহার.....