খণ্ড এক
-----------


খোলাবাজারের অসহায় নারীর জন্যে,
         অামার ভেজা নীল-চোখ হতে অশ্রু গড়িয়ে পড়ে,
অাজন্ম দাঁড়িয়ে থাকা দু'খানি পা'য়ের উপর।


যে অসহায় নারীকে দেখে লালায়িত মুখোশধারীরা
         বাংলার প্রতিটি প্রান্তে-প্রান্তে
পুরুষ-গন্ধী বাতাস ছড়িয়ে,
         মৈথুনে-মৈথুনে বের করে দিলো বীর্যের শেষ রস!


শুধু তাদের জন্যে মৃত্যুবধি----
         বহ্নিশিখায় ওষ্ঠ রেখে খুঁজে যাব চিতার দূরত্ব।


খণ্ড দুইঃ
-------------


সাত-রঙা ইচ্ছে-রে
         জীবন-মানচিত্রের সীমারেখায় বন্ধক রেখে
সাত-অাসমান অপূর্ণতায়;
         প্রকাশিত পাপের দ্বার বন্ধ করে,
শরমে,বিদগ্ধ হৃদয়ে গোপন রাখি অদেখা যত পূণ্য।


খণ্ড তিনঃ
------------


ঝরা ফুলের মত শান্ত চোখে গন্ধ ঢেলে ঘুমায় এক পৃথিবী।
         জীবন-পাতার ছানি তুলে
অামি লাবণ্য-ভিখারী;
         জেগে-জেগে নৃত্য করি সময়ের ওষ্ঠে...


খণ্ড চারঃ
-----------


অালোর মন্ত্রে,অতল বিশ্বাসের ফুৎকারে
         প্রাণে-প্রাণে পূজো দিয়ে,
প্রেয়সীর চুম্বন স্পর্শে;
         অাজ হেসে-হেসে মেনে নিতে পারি মৃত্যুর-দাসত্ব।


খণ্ড পাঁচঃ
----------


অসম্ভবে-রে জানাই নমস্কার!
         ছিনা টান করে শেষ সময়ে
দাঁড় করিয়ে দিব লক্ষ-কোটি যৌবন;
          দহনের উচ্ছিষ্ট কণা হতে কুড়িয়ে নিব
অসংখ্য জন্মে পাওয়া অযোনিজ প্রেম।


খণ্ড ছয়ঃ
-----------


বয়স্ক বৃক্ষের বিচ্ছেদী পাতাটিও শুনায়
          ইথারের বিদায়ী গান।
তখন পানসি নৌকোর
          গুণটানা দড়ি হাতে নিলেই বদলায় নদী...
কেননা অাগ্রাসী স্রোতেরা জীবন খুঁজে--
                                         মানুষ পেলেই!