শব্দে ফিরে প্রেম,কাব্যে রক্ত ঝরে রূপের বায়নায়।
চুম্বনে যদি অমর হই পৃথিবীর সব ব্যথিত হৃদয়ে
ক্ষতি কী?


জানি,অন্ধকারে প্রাণের কদর বাড়ে সূর্যচাষীর অামন্ত্রণে...


ও সুন্দরী ভেঙে ফেলো অভিমান!
                   খেপাসুর তুলে দীপালি রাতের শেষে
অান্ধার-সাগরে চালাও স্রোতের সন্ধান
                   অবলুপ্ত জগতের দানবিক ছদ্মবেশে।


কতদিন কতকাল অপ্রাপ্যরে বলেছো,ইথারে জঞ্জাল
তাই তো সূর্য-ভাষার তলেই মনের মানুষের অাকাল।
মেঘে মেঘে বিদ্যুৎ,দর্পনে খেলা করে এঁটো-ডোবা জল
শ্যাওড়া গাছে পা দোলায় মহাকাল,অদূরেই অতিরঞ্জন!
নিঃসঙ্গ শঙ্খচিল বিলের ধারে,ডানায় ডানায় রোদ্দুর
পারো যদি ফিরে চাও দীঘির পারে,দৃষ্টিতে বসন্তপুর...
অাকাশ-বন্ধু মেঘের কোলে অাঁকে প্রেমের স্বপ্নকাজল
অামি পল্লীকবি,রাখালিয়া বাঁশির তালে নাচে পাখিদল।।


অাজ চোখের মাঝেই বৃষ্টি হয়ে অাছো তুমি শ্রাবণ-বান্ধবী
স্মরণপারের কার ছায়ায়  অশ্রু খুঁজো?ও সিন্ধু-ভৈরবী!
পথের শেষে লুপ্ত-স্মৃতির কণ্ঠহারে বেজায় ফাঁক-ফাঁকি
তবু অভাবের তানপুরায় শূন্য হাতে তোমার ছবি অাঁকি।
গন্ধরাজের ঠোঁটে সুগন্ধী-মনের অামন্ত্রণ নিও হাত ভরে
যমুনার ধারেই পাবে অামার চিতার ভস্ম শ্যামের সুরে।


#(অনুশীলনমূলক লেখা)