স্বপ্নের পাপড়ি ঝরা দিনে
মনও  বিলাপী বিলীন বিলুপ্ত আক্ষেপে
ভাটির নদী গ্রীষ্মের খরতাপ মরুর হাহাকার
রুপালী নক্ষত্রের  আগুন ভরা রাতে
হাপর জ্বলে কুয়াশার পাখনায় চোখে ধুমকেতুর
ছায়া শরীর কাঁপে।


মনের অঙ্গে শরীর মেলে
সিগ্ধ গন্ধ রূপসীর শরীরে
উন্মুক্ত যৌবন সোনালী  চুলে
নয়নে মদির নেশা নুপুরের  ছন্দ পায়ে।
কোকিল গায় বসন্ত বাতাসে শীতের শেষে
হৃদয়ের হিল্লোল আবেগ বেগে।

চিনি আমি তারে সে চলে
বাতাসের বেগে মিষ্টি সুরে
কথা বলে প্রণয় রাগে।
মোহনীয় সকাল  প্রশান্তির বিকেল
শান্ত নদী সুনীল আকাশ অবিভাজ্য শরীর এক।
হারানো চুম্বন লেগে থাকে সুডৌল বুকে
পাপড়ির সৌরভ তৃষার্তের দিকে।
অমৃতের কলস ভরে গেলে
গাহি জ্যোস্নার গান প্রাত্যহিক কন্ঠস্বরে
স্তব করি ভালোবাসায় দুহাত ভরে।


গোলাপি আভায়  হাসির চুমুক
গোধূলি বেলায় গমের ক্ষেতে
বুনোহাঁস উড়ে তামাম ঝড়ে
স্পর্ধিত বায়ু ঠোঁটের উপকূল বেয়ে
বিদায়ী চিহ্ন আঁকে ।


দুঃখের স্বাদ ছুঁয়ে ......
স্পন্দিত নদীর গভীরে
ফুটে উঠে নিঃশব্দের হাত
অতঃপর নীরব সন্ধ্যার প্রলাপ।
বিদায়ী আওয়াজ  সিঁড়ি বেয়ে
চলে যায় দূরে বহুদূরে ......
যেখানে ভিড় জমেছে প্রিয় মানুষের
কথা আর বেদনার বকুল ঝরা রাতের।