পথের ধূলার মিতালীতে
আত্মার উষ্ণতা জাগে
ক্ষণিকের ঊষায় প্রাণপূর্ণ নির্মল বাতাস ।

ছন্দময় শিশিরের কাব্যে
সাজানো ঘাসের ডগা
মেখে নেয় সবুজ আবীরের রঙ।


মাঝে মাঝে বৃষ্টি ও ঘুঙুর পায়ে
খুলে নেয় মুক্তোর নোলক
কলমিলতার শাখায় ভেসে বেড়ায়
বুনো জলজ গন্ধ।


কদম ফুলের পাপড়ি জড়তা খুলে স্পর্শে
জড়িয়ে নেয় বৃষ্টির আলিঙ্গন।
প্রকৃতির মুগ্ধতায় নীরব ধরণী  
দেহের  রুগ্নতায় বাকরুদ্ধ।

দিন শেষে মৃত্যু পথযাত্রী নক্ষত্রের বিদায়ে
শেষের কবিতার আবৃত্তি
আড়ষ্টতায় কেঁপে উঠে অন্তঃস্থল
জীবনের বৈরিতায় যোগ হয় মৃত্যুর কুয়াশা
যন্ত্রণার মহামারি কেতন উড়ায়।


তিক্ত আর মধুরতার বেঁচে উঠি তবু্ও
আষাঢ়ের এই নিমগ্নতায়
কল্পনার নকশায় আঁকা মানচিত্র
একটু একটু করে রোজ বদলায়।


আবারও ফিরবে ধরণীর পুরাতন  সাজ
আবারও মিলবে হাতে হাত
আবারও বন্ধু পরিজনের  আড্ডা জমজমাট
আবারও ফিরবে শিক্ষাঙ্গনের পরিবেশ জমজমাট
আবারও বাঁচবে পৃথিবী বাচঁবে বিশ্বাস।