প্রণয় শিখায় লেগেছে দহন
মনের আরশিতে ছায়া পড়েনা তেমন।
হিয়ার মানিক ছিলে যখন
মনে ছিলনা কোনো রোদন।
কুসুম কাননে এসেছে বসন্ত
পাখির কাকলিতে মন প্রশান্ত
রক্ত রাগে ফুলের কুঁড়ি
মিলন বিরহের রৌদ্র দহন।
ভুলের বিশ্বাস ভেঙেছে যখন
সকল দূয়ার রূদ্ধ তখন
সকল আশার জলাঞ্জলী
অথৈ জলে ডুবে মরি।
কূল নাই কিনার নাই
হৃদয় তটে গড়াগড়ি
মুখপানে চেয়ে দেখি
তব মধুর মূরতি সোনালী শস্যের ক্ষেত
দিনের চঞ্চলতায় ক্লান্ত রবি
আঁধারে বিছানায় শিশির সঙ্গমে লুটোপুটি।
কুয়াশায় ঢাকা বেদনার গলি
নীলিমার নীল নীরব নিবিড়
মন খারাপের দিস্তাগুলি
আলমারিতে লুকিয়ে রাখি
প্রেম যবে এসেছিল বুঝিনি
ইচ্ছে কান্নার মেঘগুলো সব
জড়ো হলো আকাশ বাড়ি।
আঁকছি কত ছবি পাঠশালার
ঐ লেখা পড়ার বর্ণ মালা শিখি
রোজই আমার গদ্য পড়া
রোজই হারি বিদ্যাজলে
আলোর নিশান হাতে একনিষ্ঠ
মন্দাকিনীর গভীর জলে পূন্যে স্নানে ডুবি।
দেহ মাটি মানব জমিন
সোনা ফললে খাঁটি
বিলিয়ে দিয়ে সকল রতন
আঁধার ঘুচায় জ্যোতি।
ভুলের বেলায় ভুলে ছিলাম
মায়ের মুখের হাসি
ভুলে ছিলাম বাবার আদেশ
সহজ সরল মানুষ হবি।
যত সহজ তত খাঁটি
জটিল হলে খুঁজে না পাবি
মানব জন্মের আসল চাবি।