অনূভুতির সাড়া গুলো গুলিয়ে ফেলে সব
রক্তের বন্ধন  ভালোবাসার আকর্ষণ সব
এ জন্মে বোধহয় জন্ম থেকে
দিয়েছিলে বিসর্জন মানুষ নই
মেয়েমানুষ আমার নাম।
অন্ধত্বের কপালে সিঁদুর উঠে রোজ
কারো কপালে বোধহয় ফুটবে শুভক্ষণ
রোজ আয়ু বাড়ে দুর্গা দূ্র্গা বলে যাত্রা শুরু রোজ।


রোজ অভ্যাসে পাল্টে গেছে ভালোবাসার
কপূরের শিশি হতে উবে গেছে মৃদু রোমাঞ্চ
মিষ্টি করে হাসির শব্দ এখন আর শোনা যায় না
নরম গলায় আদর সুরের মূর্ছনা এখন আর বেজে উঠে না।
কেমন বাজখাঁই গলা উগরে দেয়
সব ভালোলাগার রঙ বদলায় মন
বদলায়  ভালো লাগার দোলা
বদলায় শিশিরের চুমুতে অনুভূতির সরলতার কাব্য
এ যেন জীবন্ত কঙ্কাল ঈশ্বরীর অভিশাপ
সুন্দরের নির্বুদ্ধিতা।


এখনও বাঁকা চোখে তীব্র কটাক্ষ
যেওনাকো ঐখানে ওখানে ও
সতী বেহুলার অপবাদ ঘিরে  এখনো
বাসর ঘরের সূক্ষ্ণ চিহ্ন ।
যুগে যুগে পাল্টাবে না কিছু
শুধু হেনস্তার নুতন মোড়কে
অন্য নামে জানবে কেউ।

এখন ও তুমি নিচু
মেয়ে তোমার নাম
তোমার বংশে বংশ তৈরি হবে না
চিরকাল নিঃস্ব তুমি  ব্যাথা পাওয়া তোমার অধিকার
চেপে যাওয়ার নাম ভদ্রতা শুনেছি বহুবার।