অচেনা  শহরের ধোঁয়ার পাহাড় কেটে
নুড়ি গড়িয়ে গেলে
মায়া নদীর স্রোতের রেশ অল্প দেখায়।


চাঁদও নেমে আসে রুপালী আঁখি খুলে
স্বর্গের সিঁড়ি বেয়ে চরণে চরণে ছন্দ দোলায়
তারার ফুল ভাসে রূপের ডানায়
সুনীল আকাশ খানি কোল ঘেঁষে দাঁড়ায়
নক্ষত্ররাজী ও আলতো কোমল স্বরে
কাছে ডেকে নিতে চায়।


কিছু ভুল ক্ষনিকের পিপাসা মেটায়
আজীবন ক্ষুধা রয় হাঙ্গর গলায়
এক বুক জলভরা তবু কাতর পিপাসায়।
মৌমাছির ঝর্ণায় যে উন্মাদনা লুকায়
মৌসুম সরে গেলে তারও  ইতি টানে জীবন রেখায়।


আগুনে স্নান সেরে রোজ বেঁচে উঠি
রোজই মৃত্যুর খবর রোজই আশাহত
বেহাত ভালোবাসায়
কামনার জলে রোজই পাল্টায় শরীর
রোজই ক্ষুধা বাড়ায় অনন্ত ভাবনায়।


এ যেন চাষের ভূমি মৌসুমি ক্ষেত
চিন্তার বর্ষার জল কোলে নিয়ে থাকি
এভাবে চলতে থাকে মগ্নতার রেশ।


হলাহল ফুটে উঠে রক্তের শিরায়  শিরায়
হৃদপিণ্ডের কুঠুরি ভরে তারই ব্যাঞ্জনায়
নাসিকার ভাঁজ খুলে  বেরিয়ে আসে
মৃত্যুর হলাহল।