দেহ রতন করছি যতন
মিছে নয়কো সুখ
সুখের ভেলায় ভেসে এলাম
সোয়া দুই কুড়ি দূর।


দূর দূর অনেক দূর
হারিয়ে এলাম শিশু বেলার
কত শখের সুখ
হারিয়ে এলাম মনের সুখে
পাখির ডাকে সুর মেলাতে
বউকথা কও কোকিল ডাকে
মুগ্ধ হতাম আনমনেতে।


বাবুই পাখির কিচিরমিচির
লাগতো কানে তালা
ঢিল মেরে সব তাড়িয়ে দিতাম
ঝগড়াঝাঁটির পালা।
ঝিঁঝি পোকার  জিকির শুনে
নিজের নামটা যেতাম ভুলে
মা ডাকলেও চলে যেতাম
মেঠোপথ ধরে  বহুদূরে।


দুপুর গড়িয়ে বিকেল হলে
ভুখা পেটের মোচড় বাড়ে
গড় গড় শব্দ উঠে
ভাই এসে বলতো ডেকে
মা তোকে আজ মারবে বটে।


দৌড়ে যেতাম ভয়ের চোটে
কানমলাটা  খেতাম মোটে
হাসতে হাসতে দম নিত ভাই
কি মজাটা খেলি ছোটে।


রান্না হয়েছে তোর পাতিহাঁস
খেয়ে দ্যাখ,  ঔখানেও মজা বেশ
উচ্চস্বরে কান্না যখন চড়ে
বাবা বলে কি হয়েছে ধিংগি মেয়ে।


ভাই তখন মুচকি হেসে মাকে বলে
ওর মাছটা খেয়ে নিয়েছি মোটে দু'ঘন্টা আগে।
এখন তেঁতুল গুলে দাওনা খেতে
হাঁসের ঠ্যাঁং না হয় আরাম করে
দুদিন পরে চিবোবে।