নিভৃত বৈরাগ্য
আমাকে  পৌঁছে দেয়
অমরত্বের প্রবেশ দ্বারে
পৃথিবীর অসীম সুবাস আমাকে
ছুঁয়ে দেয়।

আর আমি চলে যাই মাইলের পর মাইল
কি অপূর্ব তার রুপ নির্লিপ্ত আমি
আমার স্বত্তায় জেগে উঠে যে বালিয়াড়ি
দ্রুত তার পরিবর্তন হয়
তৈরি হয় ধূসর পলি।


সেখানে জন্ম নেয় সবুজ শস্যক্ষেত
ছোট্ট নহর  তার দু পাশে  ঝুলে থাকে
ফুল ফলের বাগান পাখির গুঞ্জন  
নহরের ভিতরে পালতোলা নৌকার
দুপাশে  ডালা মেলে জলকেলি করে রাজহংস।
স্বর্নলতায় ঢাকা পড়ে হিজলের সারি।


জন্মমাটি সদাই নাড়ীর
সাথে জোড়া দেয় বিমূর্ত বন্ধন  
গভীর মমতায় আমাকে
আরও কাছে টানে।


আমার গভীরে বয়ে চলে যে নদীকান্ত
তারই শাখা ঐ নহর সেখানে শুনতে পাই
গভীর রাতে গলা ছেড়ে গান গাইছে
মাঝি সুরটা এখনো অনুরণন হয়।


এমনি করে আমার ভালোবাসার গোল সূর্যটা
কিরন দেয় আর সোনালী সেই  ঝকমক করা
রশ্মি আমাকে বিশুদ্ধ করে আর
আমি পৌঁছে যাই অমরত্বের প্রবেশ দ্বারে।