উর্বর পলিরস্তর ভেদ করে
অঙ্কুরিত  হয়েছিল প্রেমের  সুপ্ত বীজ।
জন্মের পর প্রথম দেখা
পৃথিবীর রুপ অধো ভয় আধো আনন্দ।
চোখের শতপর্দায়  সিক্ত হয়েছিল
মায়াবী আদরের প্রথম কাজল পরা চোখ।

অনুভূতির শিহরণ ছড়িয়ে পড়েছিল
তরঙ্গের ভঙ্গিমায় প্রতিটি  সুক্ষ্মকোষে
ফেনায়িত সুখছবি ভেসে উঠেছিল
মুখের মসৃণতায় চোখের অক্ষিগোলকের নীল তারায়।


স্বর্গীয় অনুভূতির দ্বার আবৃত ছিল
বসন্তের নানারঙের ফুলের ছোঁয়ায়।
মধুময় সুবাতাস এক শীতল অনুভূতিতে
আবদ্ধ করেছিল মোহনীয় আবেশে।
তারুণ্যের ছন্দময় মন উড়ে চলছিল
আকাশের প্রতত আঙ্গিনায়  গায়ে মেখেছিল
শশীর মায়াবী রুপালী জ্যোৎস্না।


রুপকথার এক রাজ্যে স্বপ্নময় কুটিরে
প্রবেশ করেছিল এক স্বপ্নচারী।
বিমোহিত মন যাদুমন্ত্রে দীক্ষিত হয়েছিল
স্বর্গীয় ঝলসায় এক পবিত্র পদক্ষেপ  আর
ব্রক্ষ্মার সৃজনী দ্বিজ মন সুমধুর কন্ঠে শুনেছিল
সুমধুর সংগীত।


রাতের আঁধার যতই গভীরে যেত কানে কানে
বেজে উঠত মধুময় আমন্ত্রণ
সিক্ত হতো কানের পরিখা
বায়ুবীয় চুম্বনে ভিজে যেত চিবুক।


চোখের পাঁজর ভেঙ্গে ঘুম এসে দাঁড়াতো
বিছানার চারপাশ ঘিরে ঠোঁট মুখে লেগে থাকতো
ভালোবাসার আবরনী বর্ম
সুমিষ্ট সকাল জেগে উঠত পাখির কল কাকলিতে
আর দরজায় দাঁড়াতো এসে কর্মময়
জীবনের ক্যালেন্ডার।


পেন্ডুলামের ব্যস্ততাও তাড়িয়ে বেড়াতো
কাঁটায় কাঁটায়।
মনের দেওয়ালে তখনও চকচক করতো
সুরভীত সকাল গোলাপী বিকেল
আর মায়াবী রাত।