দ্বিধার স্রোত ভেঙে কাজল পড়া চোখ
নেশার ঘোরে ব্যস্ত ছিল সেদিন
যেদিন প্রথম দেখা হয়েছিল
অজানা চোখের সমুদ্রের গভীরতায়।


আকর্ষণের উষ্ণ স্ফুলিঙ্গের তরবারি
খাপ থেকে খসে পড়েছিল
বহিরা বরণের ধূসরতায়।


কথার জালে আটকা পড়েছিল মোহিত মন
ভালোবাসার অতিশয় পাগল মন
আবেগে স্নাত হয়ে ঝড়ে পড়েছিল  সেদিন
ভুলেছিলো স্বয়ং স্থানের অবুঝ সিদ্ধান্ত
অহমের প্রায়শ্চিত্ত পথ ধরে হেঁটে চলছিল।


চরম উপভোগের দিনগুলো সত্যি ভেবে
চোরাবালিতে আটকে গিয়েছিল একটা
অঙ্কুরের সদ্য ফোটা কুড়ি।

অনেকগুলো বছর দগ্ধ ক্ষতে কাতারাচ্ছে
কুড়ির প্রাণ ফুটন্ত বলকে প্রতিনিয়ত
সাঁতার দিতে হচ্ছে আগুনের নদী।


ব্যাথার চুমুতে শিকড়ের শাখা প্রশাখা
রোজই পচে যাচ্ছে পাপড়ি দল
মন খারাপের ঢাকনাগুলো বন্ধ হচ্ছে না
কোন যাদু মন্ত্রের কৌটায়।


বয়সের ভারে বিবর্ণ কুড়ি
শুকায় পরিচর্যা হীনতায় অবহেলার খাদে
প্রতিশ্রুতি বদ্ধ হাত উবে গেছে
কপটতার কালোপর্দার আড়ালে।


খিটখিটে মেজাজ ধরাশায়ী করে
মনের নরম রেশমি আবরণ
ভেঙে পড়ে উচ্ছ্বল  তরঙ্গের  ঝর্ণা।

আর কত দ্বিধা হও
ব্যাথার  দান দ্বিধা হও
ধরণীর জ্বলন্ত কুন্ডলী
জ্বলছে হাঙ্গর ক্ষুধায় অন্তরের
অনিমেষ অলিন্দে।