উষার দুুয়ারের বহুক্রশ দূরে
গোপন মরুর ছিল অসীম  ভ্রম
সময়ের স্রোতে রঙ চড়তে চড়তে  
নেচেছিল মরিচিকা ধ্রুপদী নাট্যম


কপট নম্রতায় ছড়িয়েছিল জেসমিনের সুবাস
আঁখি সরোবরে ভেসেছিল মগ্নতার কমল নজর
ধ্বনির পালে উড়েছিল আদরের মধুর পরশ।
কথার প্রতিটি শব্দ ছিল মদির স্বপন অম্লান
ডুবেছিল হৃদয় কুসুম অতল স্বপ্নের ফোয়ারায়।


তুচ্ছ করি ভয় বিবাগী হৃদয়
বেঁধেছিল আশাঘর বিদগ্ধ ভরসায়
দিগন্তের আঁকাবাকা পথ  গড়েছিল
সবুজ মেঘের দেয়াল।


নিঃসঙ্গ ছায়াময়  নীরব
অন্তরীক্ষের তারার ঝলমল
দূরন্ত আবেগে ফুটেছিল ভাঁটফুল
হৃদয়ের কবিতা মেতেছিল নিশ্চুপ।


চঞ্চল চপল পায়ে ছন্দ দোলায়
এলোকেশী সুবেশী রুপে মনোহর
ঠোঁটে ঠোঁটে লেগেছিল ঝর্ণার জল
চিবুক কেঁপেছিল খুলেছিল কারুময় দ্বার।


কখন যে উঠেছিল মনোবনে ঝড়
ধূয়ে মুছে একাকার
ভালোবাসার মোড়ানো প্রলেপে ঘৃনার আঘাত
কুয়াশায় ঢেকেছিল মিষ্টি মুখের উচ্ছল ভাব।


পুরানো চাঁদের পরে নুতন চাঁদ
শীতের পরে বসন্ত
মেঘের পরে বৃষ্টি
আঁধারে পরে আলো।