জীবনের আরশিতে অর্থহীন দিনগুলোর
কোন অধ্যায় লেখা হয়না
মনের  বইয়ের লাইব্রেরিতে
সাদা পৃষ্ঠার কাগজের এক গুচ্ছ শব ঝুলে থাকে
রঙহীন মনের বৈধব্যে।

কামনার জলের ও কোন আকার নেই
আমৃত্যু বাড়তে থাকে নানা ফোঁকলে্।
ভালোবাসাহীন নিঃশব্দের রাত পেরোয়
হাজার সমাধির  পাশ দিয়ে  হেঁটে যাওয়া
একাকীত্বের অনুভূতিতে।

শুধু উড়ে  যাওয়া পাখির ডানার শব্দ
ঘোড়ার পিঠে মারা চাবুকের মত কানে লাগে
মাঝে মাঝে হুশিয়ারী  হুইসেল  বাজে
ফুঁ- উ -ফুঁ-উ ফুঁ-উ -------------।


কুয়াশায় অলীক পর্দা চোখে মুখে আলপনার
জলরঙের ছবি আঁকে।
তারা ও মরিচিকা হয়  অচেনা মানুষের
অচেনা  সংলাপের অক্ষরে ।
চাঁদ পড়ে অমাবস্যার করাল রাহুল গ্রাসে
কালোয় ঢেকে যায়  পুরো অবনী জুড়ে
সাপের শরীরের মৃদু স্পর্শের মত
হিমেল পবনের সুরসুরি লাগে গায়ে।

সবুজ পল্লব কালো রঙের পর্দা
হয়ে ঝুলতে থাকে
ভয়কে আরও নাড়া দেয় পেত্নী রূপে।
সমূলে উৎপাটিত হয় হৃদপিণ্ডের লাল স্তর
ফিনকি দিয়ে নীলাভ রক্তছুটে যায়
শুন্য কোষের নিউক্লিয়াসে
জীবনের সংঞ্জীবনী সুধার জন্ম মাটিতে।


সাত পাঁচ দিকে পাক খেতে খেতে
অবসন্ন দেহটা নিস্তেজ হয়ে পরে
বিছানার নরম উষ্ণ ওমে
শতাব্দীর ঘুম জড়ানো চোখ
ক্লান্ত করোটিকা ঘুমিয়ে পরে  আতঙ্কের ঝিঁমুনিতে।


যাযাবর দিন আসে নিশির বন্ধ দ্বারে
এভাবে গত হয় জীবনের লেনদেন
জীবনের  আরশিতে।
মোড় ঘোরে ঘোরে দিনপঞ্জি
চেয়ে থাকি টুকরো টুকরো আশার খণ্ডে
যেখানে নরম কাঁদার মত প্রাণ বেঁচে উঠে ভ্রূণে
তোমার মনের শস্যক্ষেতে
ভালোবাসার বর্ষায় শ্রাবণের গোলাপ রঙে।


আর আমিও পৃথিবীর ফুল হই নানা রঙে
আমার সুন্দর কর্মের নিত্য যজ্ঞে
বর্ষার স্নাত কদম ফুলের সৌরভে মুহুর্মুহু
এ হৃদয় ভূমের উর্বর মৃত্তিকায়।


তোমার দীনতায় উদয়গিরির অস্তাচলে
বিলীন হই আমি ও গোধূলি কালে
দুধে আলতার রঙে।