স্বস্তি আর আনন্দের কান্নায়
শির মুকুটের প্রনত চোখ নুয়ে গেছে
আঁখির বারি ধারার স্রোতে।


প্রশংসার সব শব্দ ফুরিয়ে
গেছে হে  বিধস্থ দেবতা
অর্ঘ্য দানে  কাঁপছে কর কমল
কাঁপছে তনু তুমি আছ কি নেই
এই বিশ্ব চরাচরে।


মন্দির মসজিদে পড়েছে তালা
অনন্ত শয়ান তব আঁখিপাতে
আসবে কি ফিরে নবীশ দেবতা
নেবে অঞ্জলি এ মহাসংকটে।


অনিয়মের শক্ত হাত করছে
শাসন সুশাসনের অধিকারে
বেজে উঠেছে প্রলয় ডঙ্কা
মুদিত নয়নের গোপন গহীনে
অভিশাপের অস্পষ্ট শব্দের ভীড়ে
হাত উঠেছে  নিপীড়িতের কটাক্ষে।


মোহের দেয়ালে চকচকে রঙ
ভোরের কমলা আলোয়
কয়লার মত জ্বলজ্বল করছে।

জোড়া চোখে বিষাদের ছায়ায় তরঙ্গ  
প্রাণের তারুণ্য নিয়েছে কেড়ে।
তীরের গুঞ্জনে পবনের
বৈরি হাওয়া  হৃদয়ের আলো
কালো মেঘে দিয়েছে ডেকে।


দমবন্ধ খরখরে
আচরণের সমাধি করে
অন্তরে ভালোবাসার নির্মল বন্ধন
মুক্তির উত্তম পথের দিশা দেখিয়েছে।


জয় হোক অন্তরের বিচার
জয় হোক নিপীড়িত দূর্বলের
জয় হোক শত কোটি মানুষের
তুলেছে হাত মুক্তির আহবানে
তব আসীন সম্মুখে।
দাও সাড়া লক্ষ কোটির অন্তরের।