নিভৃত মগ্নতায় ভোরের রুপালী আভা
রেখে যায় অন্তঃশীল  কোমলতা।
হৃদয়ের কোটরে তখন উষ্ণ অনুরাগ
চোখে উজ্জ্বল দীপ্তির আতিশয্য।


কিছু অদূরে হলুদরঙা ঠোঁটের পাখিটা
তখন চিরক্ষুধায় হন্নে হয়ে খোঁজে  
শাখার ফাঁক ফোকড় পাতার উপর নীচ
কার্নিশটায় তখন ঝকমক করে আলোর ঢেউ
চড়ুই দুটো সেখানে দুরত্বে দাঁড়িয়ে
মহাউল্লাসে লেজ নাচিয়ে
প্রীতিভরা চোখে কথাবলে।


দূর থেকে ভেসে আসে প্রার্থনা সংগীত
শান্ত সিগ্ধ কোমল রেশ
মোহবিষ্ট আমি দুচোখে ঘুমের ঘোর
আমাকে  ক্লান্ত করে।
আর আমি নিমেষহারা সঙ্গবিহীন চিরন্তনে
কে যে আমায় আপন করে টানে
কে যে আমায় ভুলায় মনের ঝংকারে
কে যে আমায় ভাসিয়ে দেয়
কায়াহীন এক স্বপনে।


আবার কে যে আমায় জাগিয়ে দেয়
মরণ ভেরি পাল তুলে, চোখের নেশা
প্রাণের  আশা কখন ডোবে কখন ভাসে
লীলা সিন্ধুর ঐ  পাড়ে।
কেহ নাহি জানে কিছু নাহি বোঝে
এ অনন্ত চরাচরে।