মায়াবী মুখ শুনিয়েছিল সেদিন
সেই সোনাঝরা কাব্যখানি
ভুলিনি আজও ভুলিনি।
খাঁচায় ছিল বন্দী প্রেমকাহিনী
তরতাজা আবেগ প্রচুর নিবেদনে
ফুটেছিল কাননে কুসুম কলি।
মায়ানদীর স্রোতে ভেসেছিল দম্ভ
শেওলার মূল
ঝড়ে কি বাঁচে মুখ লুকানো কুসুম
আগুনের নদী পেরোয়নি সেদিন
গলেছিল মোম হয়েছিল মমি
বোধের হালখাতা হয়েছিল উন্মূল।
স্বপবেড়ী ছিল যা মনে
ছিল তার উন্নত শির
আকাশ ছুঁয়েছিল আশা
বেঁধেছিল ঘর মেঘের রথে
ঘুরছিল দিকবিদিক।
মাটির ছোঁয়া পেয়েছে যখন
কিছু নেই বাকি সব যে ফাঁকি
শুধু কান্নার হামাগুড়ি কুয়াশার
দেয়াল চৌদিক।
সরল বিশ্বাস ভেঙে খান খান
শুকায়নি এখনো ক্ষতের খনি
কিছু ব্যথা বারোমাস কিছু কথা
লুকানো চিরদিন।
ধরিত্রীর বুকে নুয়ে যাবে শির
হবে শান্ত শরীর
গুনে ধরা ভালোবাসা জ্বলে
জোনাকির ডানায় ধিকিধিকি
অমাবস্যার আঁধার কুঠুরিতে
মুছে যায় বেদনার কিঞ্চিৎ ঋণ।
অবাধ প্রেমের সমাধী দেখে
নক্ষত্রের সহস্র চোখ
তারা ঝকমক রাতে আফ্রোদিতির
উড়ন্ত বসনে ঢাকা পরে পার্থিব শোক।
শোকের ও মমি হয়, হয় ভালোবাসারও
শতাব্দীর প্রেমের স্মৃতিস্মারক
হয়ে গড়ে উঠে তাজমহল আইকন।