ভূবনে ভূবনে ছড়ায়ে রয়েছে
স্রষ্টার রূপের নবমঞ্জরি
যে দিকে চাই দেখিতে পাই
তারই রূপের অপরূপ ছবি।

বৃক্ষে ফুটেছে ফুলের ডালি
গানে গানে পাখির কাকলি
ঝর্ণা বয়ে চলে সমতল ভূমে
পাহাড়ে পাহাড়ে করে কানাকানি।

নীল নীল জলে নীল নয়না
বুকে প্রাণ করে সঞ্চারী
অসীমের পানে চেয়ে রই
ঢেউে ঢেউে লুটাইয়া পড়ে আঁচড়ি
কূলে কূলে জাগে সারা বক্ষে জড়াইয়া ধরি।


নীশি অবসানে প্রাতঃ কুঞ্জে
রূদ্ধ রবির আঁখিপল্লব  
মুখখানি নীরব শান্ত প্রকৃতি
আপনহাতে ঊষার দূয়ারখুলি।
গগনতলে তখনও  শশী
আকাশ প্রদীপ অন্তরালে
হিমেল পবন বইছে চৌদিক।


সোনালী রোদ্দুরে ছেয়েছে অবনী
সুনীল আঁচলে  জেগেছে নীলাম্বরী
সরব বিহঙ্গ সুমধুর তান
সবুজ ক্ষেতে পানকৌড়ির হাঁক
শিকারীর ফাঁদে লুপ্ত এ জাত।


হৈচৈ করে শিশুর দল
আম্র কুঞ্জে খুব  কোলাহল।
মায়ের বকুনি শুনতে পেয়ে
ঘুঙুর বাজায়ে লুকায় সব।


খেলার খেলায় এমনি করে
যায় কেটে যায় বেলা
রাখাল ছেলে চাষ করে
নানান ফসলের মেলা
আউশ আমন বোরোধান
সবজি ও অশেষ।
জেলে ভাই ধরে মাছ
হরেকরকম ভেদ।


ধোপা তাঁতী কামার কুমার
নানান রকমের কর্ম
রকমভেদ এ কর্মের ভিড়ে
গড়ে নানান চিত্র।


এইতো আমার দেশ
চিরচেনা বাংলার রূপ
রূপের নাইকো শেষ।