দুঃ শাসনের নীলাভ রাজত্বে
নাটকীয় মঞ্চ প্রস্তুত
একের পর এক প্রহসনে জর্জরিত
গন্ডীর মন্ত্রপূত গনতন্ত্র ।

আস্থা ভাজনরা
আহত প্রলাপে ডুবে মরে নিত্য নির্বিচারে।
সময়ের কাদামাটির প্রলেপে স্টাচু সেজে
বধির কর্নে মুখ চেপে জিহবাকে শান্ত রাখে বন্ধ ঘরে।
ভদ্রতার নামাবলী রোজ গায়ে পরে দৃঢ় চিত্তে
শান্ত কমল স্বভাবের সাজঘর তৈরি করে সুনিপুণ করে।
নিত্য হাতেখড়ির শপথ আওড়ায় অজানাকে
জানার কৌতুহলে।
পরিপাটি করে শিক্ষার শিখা সনদের
প্রতিদিনই শেখে অভিজ্ঞতায় প্রতিদিনই
নুতন কিছু হাওয়া বদলের খন্ড চিত্র।

বড্ড বেমানান প্রতিদিনই
এক টুকরো চাঁদ দূরে হাজারো নক্ষত্রের
তেজ রশ্মির হাত বাড়ালেই যায় না ধরা অবলীলায়
তবুও চেষ্টার গন্ডী বাড়ে সামর্থ্যের সক্ষমতায়।
যেতে যেতে কত ঝড় তুফান
কত সীমাহীন সংগ্রাম নিজের তৈরি
ঈশ্বর নিজের পূজায় শুদ্ধ উপাচার।


ঈশ্বর দেখিনি
দেখেনি মোহের ভৌগোলিক সীমানা প্রাচীর
ঘুরেছি তীর্থে দেখেছি বাহারী সাজ
সুন্দর সাজে উঠেছে মন্দির মসজিদ
বদালায়নি আত্মার পোশাক ন্যাংটা হাবাগোবার
মধ্যেই শ্রীমান শ্রীমতির বিশেষ রূপের বাস।


দূর্বল মনে ঢোকে সহজে ঈশ্বর
কঠিন বৈরাগ্যে চিরস্থায়ী আবাস
কঠিন অংক কষলে সুদ কষায় পালায়
ভক্তির কাঙাল ঈশ্বর।

সহজ হতে আরও সহজ পানি কিন্তু নয়
মনটাকে করলে সহজ স্বভাব সহজ হয়।
জটিল কুটিল বুদ্ধি শুধু রাজনীতিতে নয়
বিরাট রাজ্য মনের ভিতর রাজা একজন হয়।
প্রজা ও এক ভূমি ও বিশাল যত বাড়াতে চায়
মন্দির মসজিদ গীর্জা সেথায় নির্মাণ করা যায়।
সাগর নদী ঝর্ণা বহে কলকল রবে
উর্বর দেহ মাটি খাঁটি সুচিন্তার ফসল
পাখপাখালি আত্মীয় স্বজন বন্ধু পরিজন।