গুলাবে পুর্ণ হয় ভালোবাসার  কুঁজো
বুকের নিঃশব্দ জোছনায় ছুঁয়ে
যায় আমার শরীর ।
সৃষ্টির দ্যূত হয়ে আসে ছোট পাখি
বুকের গভীরে তার পানপাত্র
হাওয়ায় মোহবিষ্ট তার মায়াকণ্ঠ
অশ্রুত সুরের যাদুতে হঠাৎ মধুময় করে
তোলে ভাসমান দ্যুলোকের প্রতিটি ভগ্নাংশ।

অমৃত সুর রসে ডুবে আমার দেহের
কুঞ্জকাননের প্রতিটি আধার ।
মস্তিষ্কের ফাঁকা স্থানগুলো ভরে যায়
কানের নালিকাগুলি পুর্ণ হয়।
ক্ষণকালের মোহমুক্তি নিয়ে ধ্যানস্থ
সন্ন্যাসীর মত পৌঁছে যাই আত্মার আত্মাতে
নিভৃতচারী বিবাগীর  নিরাসক্ত পথ ধরে।


আমি পথভ্রষ্ট নক্ষত্র নই
নই ধ্যানরত নিমগ্ন সন্ন্যাসিনী
নই কারো কোজাগরী পুর্নিমার চাঁদ
নই কারো ভাগ্যলক্ষ্মী হয়ে উঠা প্রেয়সী।

লালিত বাসনার এক জলন্ত বারুদ
আমাকে কায়াহীন পুড়িয়ে মারে অনুক্ষণ।
ঘোর অমাবস্যায় বিধস্ত উল্কার  রক্ত নহর
আঁখির ভিতরে রোজ ঘটায় এসিড বৃষ্টি।
বিলম্বিত অনুতাপ শোষণ করে নিচ্ছে
জীবনের  টাটকা বাতাস।


উর্বর পললে নুয়ে আছে আমার সংযত হৃদয়
শরৎরাঙা মুখে তাই লেগে থাকে কাশ ফুলের কমল হাসি।
শিউলির সংগী করে আমাকে ঝরাতে পারেনা যামিনীর পুর্ণ যৌবন।


অমোচনীয় ভাগ্যরেখা পাল্টাতে
মানুষের চেষ্টা চলে সময়ের অন্তহীন বৃত্ত রেখায়।
এ যেন আত্মার সাথে ভাগ্যের মিলন নিষিদ্ধ দিন।
অন্তহীন পতনের শেষ প্রান্ত মৃত্যুতে
ঝুলে থাকে নীরস বদনের বিষন্ন প্রলাপ।