সন্ধ্যার চৌরঙ্গী


বিকেল পাঁচটা হলে রাস্তায় গলে পড়ে মায়াবিনী আলো
গালে রুজ ঠোটে রঙ
হেমন্তের ম্লান রোদ তোমার গ্রীবায়
স্ফটিক স্বচ্ছ ত্বক প্রগাঢ় যৌবন মেলে দিলো ।
ব্যাধিগ্রস্হ স্বামী  আরো দুটো মুখ
দুবেলা নাহলেও একবেলা নিতান্ত দরকার
ডালভাত ,বাড়ী ভাড়া, কিছু একান্ত ওষুধ
নুন আনতে পান্তা ফুরোয়, ধার দেনা মিথ্যে কথা রোজ
মান সম্মান সব যায় চাকরির মেলেনা কোন খোঁজ ।


কিছু বিক্রি করা যায় কিছু বিজ্ঞাপন
খরিদ্দার এখানে ওখানে  শিথিল যৌবন
পাওয়া যায় অনায়াসে ময়দানে বসে ।
একদিন সব ছিল সম্মান প্রতিপত্তি সভ্রান্ত জীবন
ছিলনা কখনও স্বপ্নে এমন অনটন ।

বিপদে পড়লে আত্মীয় ব্ন্ধুরা কেউ কারো নয়
সন্ধ্যার চৌরঙ্গী ওড়ে যেন  মায়া প্রজাপতি
নিজেকেই করতে হবে মুস্কিল আসান ।
বেচেঁ থাকা আনন্দের ,যতক্ষন আছে এই প্রাণ  
চলো যাই বসি গিয়ে আউটরাম ঘাট
তোমার ও ত কিছু চাই সন্ধ্যার বিনোদন
আমি আছি সশরীরে ,উড়বো কিছুক্ষন ।


রচনা ৭/২/২০০২