গুরুর বচণ


দুচারটে বই পড়ে দুচারটে ডিগ্রী নিয়ে
হয়েছো মহাজ্ঞানী ।
ভব সমুদ্রের কিছুই জাননা তুমি
এ শুধু বিদ্যার হয়রাণি ।
এই বিদ্যা কোন বিদ্যাই নয়
সব ত্যাগ করে মায়ের পায়ে
কর আত্মসমর্পণ ।
বিষয় আসয় পরিবার সব ত্যাগ করে
পারাণির কড়ি কর অন্বেষণ ।


বিজ্ঞান বিজ্ঞান করো ,মুখে মুখে তর্ক করো
বিজ্ঞান কী গড়তে পারে নতুন জীবন
থামাতে পারে তোমার নিশ্চিত মরণ ?
ব্রহ্মজ্ঞান দিতে পারে একমাত্র মায়ের চরণ
দুবেলা মন্দিরে যাও জপতপ ধ্যান করো
রামকৃষ্ণ সারদার শ্রীচরণে ঠাঁই নাও
পরপারের পূণ্য্ কলস বিশ্বাস দিয়ে ভরো ।
দীক্ষা নাও ,ব্রহ্ম মন্ত্র জপ করো দুই বেলা রোজ
ঠাকুরের চরণামৃত খাও
অমৃত জীবনের পাবে ঠিক খোঁজ ।
আশ্রমের সন্যাসীরা পরম পূন্যবান ব্রহ্মজ্ঞানে জ্ঞানী
তোমার স্বর্গ লাভ নিশ্চিত হতে পারে
যদি দাও যথেষ্ট প্রণামী।