সলিল হীনা তরি আমি তটে  আমার বাস,
দেহের ভিতর জন্মে দেখ হরেক রংয়ের ঘাস।
ভাঙ্গা মাচা জলে ভাসা ছেঁড়া আমার পাল,
প্রবল স্রোতে ভেঙ্গে ছিল গরান কাঠের হাল।
পরে থাকি হৃদয়ে আঁকি একাকিত্বের নীড়,
দুটি পাখি উড়ে আসতো দেখতে নদীর তীর।
উড়ে বেড়ায় ঘুরে বেড়ায় বসে আমার গায়ে,
অদৃশ্য এক ঝুমুর বাঁধা যেন তার পায়ে।
গান করে নাচ করে করে হরেক রঙ্গ,
তাদের সুখের ভাগি হতাম দিয়ে আমি সঙ্গ।
দিনগুলো আমার সুখের মাঝে কাটতে ছিল বেশ,
হঠাৎ একটা ধমকা হাওয়ায় সবই হল শেষ।
পাখি আসে গায়ে বসে কিন্তু সে যে একা,
অনেক দিন কেটে যায় পায় না সাথীর দেখা।
নিঃস্ব বুকে যেন ধুকে মৃত্যু পথে পাখি,
নির্বাক মুখ হারিয়ে সুখ রক্তাক্ত আজ আঁখি।
আমি তরি কি যে করি দুঃখ দেখে তার,
আমার দুঃখ সহজ ভাবে মানে তার কাছে হার।