কোথায় বিবেক খুঁজি আজ আমি তারে,
পাড় হলাম মরুর বালু পৌঁছালাম নদীর ধারে।
সামনেই ঘন বন ভয়ে কাঁপিল মন গেলাম মধ্য দিয়ে,
সাহস জোগাড় করে ঝোংলা রাস্তা ধরে প্রশ্নটি সাথে নিয়ে।
হঠাৎ চিৎকারের শব্দ আমি তো স্তব্দ দেখি এদিক ওদিক খুঁজে,
মানব যে নয় শব্দটি পাখিরই হয় গেলাম আমি বুঝে।
সামনেই দেখি খাঁচা পাখিটি এখনও বাঁচা শুধুই ছটফট করে,
চিৎকারের মাঝে একটা সুরই বাজে যেতে চাই এখনই ঘরে।
মুক্ত করে দিলাম পাখিটির পিছু নিলাম যেথায় সে যায়,
একটু যেতেই দেখি পাখিটির বাসায় একি কাঁদে দেখি মায়।
আর্তনাদ করে পাখি অশ্রুত তার আঁখি পরে মাটির পর,
বারে বারে বলে সে যেন জ্বলে যে ভেঙ্গেছে আমার ঘড়।
আজি তো ছিল বিয়ে পাগড়ি মাথায় দিয়ে সাথীর সাথে,
খাঁচার ভিতর এঁটে লগ্ন গেল যে কেটে মানবের হাতে।
বুঝিলাম শেষে একটু কাছে এসে পাখির তনু দেখে,
অভিমান হয় জমা পারে নি করিতে ক্ষমা সাথীকে না দেখে।