ছিল এক শান্ত মেয়ে,
হাসি খুশি সহজ সরল,
বুঝা যায়না কিছু তার পানে চেয়ে,
তার নিতান্ত কিছু চাওয়া পাওয়া,
একটু আধটু আড়ালে সাড়া দেওয়া,
সুন্দর প্রাকৃতিক ছবি আকাআকি,
কিছু অবাধ্য বকাবকি,
আবদার পূরণ হওয়ার তরে,
উকি দিত খালি আমার ঘরে,
পছন্দ করে ফেলেছিল বোধহয়,
আমার চাহনি আর অস্থির হাটাচলা,
সহজেই সব খুলে বলা,
মনের মাঝে এঁকে রাখছিল সে তাই
এক কাল্পনিক কমলা গলার মালা।
হৃদয়ে তখনো পড়েনি আমার তালা,
ভাবতাম তখন শুধুই আমি,
এবার কি তবে আমার পালা,
তাকাতাম তার দিকে আগ্রহ ভরে,
কল্পনায় ডুবতাম সুরে সুরে,
কিন্তু পরিস্থিতির নাজুক দশা,
কমিয়ে দিল এই নেশা,
বাধ্য করল সবাই ভুলতে তারে,
ক্যারিয়ার গঠনের অকাট্য তরে,
সে তবুও থাকত চেয়ে,
আমার দ্বারে দ্বারে,
ফিরিয়ে দিতে হল তবুও তারে,
সেই পৌষ মাসের পড়ন্ত বুধবারে,
তার চোখের পানি মানছিলনা বাধ,
পারছিলাম না সামলাতে তার কাধ,
ঝরেছিল সেদিন কান্নার বর্ষা অবাধে,
আমিও পারিনি আটকাতে আমাকে,
চরম কিছু বাস্তব সত্যের মুখোমুখি দাড়িয়ে,
সরিয়ে দিলাম স্বার্থপরের মত তাকে,
একটু হলেও নিয়েছিলাম হৃদয়ে যাকে,
চলে আসলাম সুদূর প্রবাসে
তাকে সীমাহীন কষ্টের সমুদ্রে ভাসিয়ে,
আমার অতৃপ্ত আত্মচাহিদাকে হাসিয়ে,
শুদ্ধ ভালোবাসাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে,
নিজের হৃদয়হীন চেহারা মিশিয়ে,
গেলাম আমি গভীর আড়ালে লুকিয়ে।