বৃষ্টি বাদলের অন্তরালে আছে লুকিয়ে,
কত সুখ দুঃখের মিশেল,
মেয়েটির নাম ছিল বনলতা
আর ছেলেটি ছিল হিমেল,
ভার্চুয়াল জগতের অসহায় বেড়াজালে,
আটকে ছিল দুই মানিক জোড়ের ভালোবাসা,
প্রকাশ হয়নি আজও বাস্তবে
তাদের মনের তীব্র আশা
সেদিন হঠাৎ মেয়েটির অনলাইনে আসা,
ওলটপালট করে দেয় ছেলেটির ভাষা,
মেয়েটি জানায় অকাতরে তাকে,
দেখতে ইচ্ছে হয় তার যাকে,
ছেলেটি সব বুঝে হাসে মুখ টিপে,
অন্তরে তার মুছে গেছে যত অনুভূতি,
ছেলেটি আর চায়না রাখতে
এই মন খেলানো বন্ধুত্বে কোন ত্রুটি।
বলে দিল তাই সোজাসুজি
পারবনা করতে দেখা তোমার সাথে,
তোমার মাঝে পাইনা আমি নিজেকে খুজে,
তাই ভেঙে দিচ্ছি এই বাধনজোড়া বুঝেসুজে,
শুনে মেয়েটি চমকে গেল ভারি
আকাশ ভেঙে পড়ল মাথায় তাড়াতাড়ি,
করে ফেলেছে বোধহয় সে কিছু বাড়াবাড়ি,
ছেলেটি যে এবার দিয়েছে পাকাপাকি আড়ি,
তাই মেয়েটি চলল এক অচীন বাড়ি,
সারাজীবনের তরে করবে আত্মগোপন,
নিজের সাথে চালাবে নিজের আড়াল কথন,
বুঝতে দিবেনা কাউকে নিজের এই পোড়া মন,
আর কোনদিন যখন তখন,
ঘুরে বেড়াবে অজানায়,
সারাবেলা আর সর্বক্ষণ।