জানিনা কখন শেষ হবে প্রতীক্ষা
দিচ্ছি তো খালি ধৈর্যের পরীক্ষা
জীবনের নানা ক্ষেত্রে নানা পদক্ষেপে
কাটছে একটু একটু সুখ আর আক্ষেপে।
ভাবছিল এসব কথা নিজের রুমে বসে
এক অনার্স পড়ুয়া ভদ্র ভাবুক ছেলে
কিভাবে জানিনা ঘুরছিল ভাগ্যচাকা
নিয়ন্ত্রণে থেকেও যেন সব অনিয়ন্ত্রিত
নিয়তি তার সাথে অদ্ভুত সব খেলা খেলে।
তবুও নিভায়নি ছেলেটি আশার প্রদীপ
জ্বলছিল তার স্বপ্নের বাতি ডিব ডিব।
চেষ্টার পর চেষ্টাকে ছাড়িয়ে
ইচ্ছাশক্তির মাত্রাকে একটু বাড়িয়ে
চ্যালেন্জ নিল সে যাবে বদলে
ক্ষু্দ্র ক্ষুদ্র সব আঘাতের ঘটনাবলি
যেতে দিবে না আর মনের অতলে
একটি দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে নীরবে
সব অপমান আর বিশ্বাসঘাতকতার স্মৃতি
দিবে একদম ধুয়ে মুছে
আর শুধু প্রাণখুলে হাসবে আর হাসবে।
বাইরে থেকে এসব ভাবা ছিল বেশ সোজা
কিন্তু মনের মাঝের সেসব ক্ষত
এত সহজ নয় যে বোঝা।
তাই একদিন গিয়ে সমুদ্রপাড়ে
পানিতে আলতো ভিজিয়ে নিজেকে
ছেলেটির হল উপলব্ধি হঠাৎ করে,
বুঝে গেল সে বন্ধুত্ব ও সম্পর্কের
আসল সত্যিকারের মানে
সাহায্য আর ত্যাগ তীতিক্ষার মাঝে
স্বার্থপর হওয়া যায়না যে কোনখানে।
সময় দিতে হয় জুটির দুই চরিত্রকে
বুঝতে শুনতে আর জানতে একে অপরকে
মাঝে মাঝে হলে অযথা ভুল বোঝাবুঝি
ক্ষমা করে সামলে নিতে হয় সম্পর্কটাকে।
এত সব আদর্শ কথার মাঝে
ছেলেটি ভুলে গেলল সমুদ্রের বিশালতা
সাগরের আশপাশের মিষ্টি মধুর হাওয়া
বাড়িয়ে দিল ছেলেটির মনের সাহসিকতা।
উঠে দাড়াল সে আবার হতাশার জাল কেটে
আজ তার হয়েছে রুখে দাড়াবার পালা
জীবন সংগ্রামে জয়ী হয়ে তবে
পড়িয়ে দিবে সে তার জীবনগল্পের নায়িকাকে
আস্ত এক ফুলের মালা।