১০ দিন গেল কেটে কিভাবে যেন
আমার আর রত্নার বিবাহিত জুটি,
শারীরিক আর মানসিক সুখবৃত্তির মেলবন্ধন
বুঝে উঠেনি তেমন এই মানুষ দুটি।
কাছাকাছি আছি, রয়েছি পাশাপাশি
তবুও বাড়ছে যত সময়,
মনের তৃপ্তিটা টা এখনো আছে পড়ে চাপা
হদয়ের ছোয়ায় মিলে হয়নি এখনো পরিণয়।
তাই বলে হারাইনি ধৈর্য্য আমি
রত্নার সুখ দুঃখে ছাড়িনি সঙ্গ,
থাকতে চেয়েছি সর্বদা বন্ধু হয়ে
অকৃত্রিম সঙ্গী হয়ে করে গেছি কত রঙ্গ।
তবুও এই ছোয়া ছুয়ির খেলায়
হাত আর শরীরের স্পর্শটা তো ক্ষীণ,
দিল থেকে বুঝতে হবে তো স্পন্দন
তবেই তো মজবুত হবে হৃদয় বন্ধন।
এরই মাঝে খেয়ে গেছি কত ধাক্কা
আমি আর রত্না সামনাসামনি পাশাপাশি,
একটু একটু গরম ঠান্ডা আচে
হৃদয়ে হয়নি এখনো কম্পন,
অনুভবে আসেনি এখনো সে ছোয়া তার তরে,
বুঝতে পারিনি তার মন কত সুবাসী।
চেহারায় রত্না সুন্দর ভারী
আকাঙ্খায় ছিল মন পাবো তারী,
কাটতে কাটতে গেল কিছু মাস
মনে বাজেনি ঘন্টা তখনো,
দিচ্ছিলনা কোন আনন্দের সুভাস।
প্রতিদিন থাকছি পাশাপাশি
কথা বলছি বেশ কাছাকাছি,
তবুও মনের দূরত্ব যেন আর কমার নয়,
বিরহ যে ডাক দিয়ে বলছিল আমি আসছি।
ভয় পেয়ে গেল আমার অন্তর
তাই খুলে দিলাম বাড়ির দ্বার,
চলে দিতে হবে রত্নাকে
যেখানে সে পাবে মনের মিল,
মন জয় করতে পারবে প্রিয়জনের।
চলে গেল রত্না শেষমেষ আমায় ছেড়ে
কিছু বুঝো উঠার আগেই,
অধ্যায় প্রায় শেষ সেই বিয়ের
ডিভোর্সের দিন যে ঘনিয়ে আসছেই।
তারপর কাটল আরো কিছু দিন
একদিন হঠাৎ মনে হল ক্ষীন,
মিস করছি একজনকে হৃদয় ভরে
সাহস করে বলে উঠিনি যে এতদিন।
অবশেষে হৃদয় ডেকে উঠল আমার
বলল ভালবাসি শুধু সেই বিবাহিত কন্যাকে,
যার সাথে তৈরী হয়েছে অনেক আগেই,
সামাজিকভাবে সৃষ্ট বন্ধন
মনের কঠিন দূরত্বের কারণে গিয়েছে সে বহু দূরে,
আজ তবুও ফিরিয়ে আনতে চাই তাকে,
সেই ছোয়ার খোজে এই ভর দুপুরে।
শত বৃষ্টি আর ঘূ্র্ণিঝড় এড়িয়ে
দৌড় দিলাম রত্নাদের বাড়ি,
মনের ছোয়া আজ জিতে গেছে,
শারীরিক আবেদন আর অধিকারের কাছে,
তাই ভেঙে দিলাম চরম আনন্দে,
রত্নার সাথে গড়া পুরনো আড়ি।
চল প্রিয়তমা এবার তোমার শ্বশুরবাড়ি।