একদিন যদি, হুট করে
দেখা হয়ে যায়,  পথিমধ্যে রাস্তায়!
তারপর যদি বৃষ্টি নামে।
সারা দুপুর যদি না থামে!
একটা টিনের বারান্দায়
অনেকের সাথে তুমিও যদি রও,
আমার দিকে কি চোখ পড়বে?
নাকি কপালের কাপরটা আরেকটু টেনে,
চোখটা ডেকে নিবে, যাতে চিনতে না পারি।
আরচোখে কি তাকাবে?
আগের মত আছি কিনা দেখতে?
নাকি হাতের তালুতে ফোনটা নিয়ে,
স্বামীর কলে মত্ত হবে।
বা সাথে তোমার বরও রইলো,
পরিচয় কি করিয়ে দিবে?
নাকি পাশ কাটিয়ে বসবে?
এমন হাজার কল্পনা
তুমিময় প্রশ্ন আমাকে দিন দিন
অসুস্থ করে তুলছে।
হ্যা এটাই সত্যি।
আমি এখন অসুস্থ বই কিছু না,
পাগল কিংবা উন্মাদও বলতে পারো,
রিক্সার ভাড়া দিতে হবে জেনেও মাঝপথে
নেমে পড়ি।
আনমনে হাটতে থাকি,
ভাবনা জুরে তুমি থাকো,
ওয়ালেটে সেই ছোট্ট ছবিটি তোমার,
আর তোমায় না দিতে পারা একটা চিরকুট।
মনে হয় এই বুজি দেখা হলো।
তুমি রেগে গিয়ে চুপ হলে।
আমায় আর বকলে না।
কিছুই বললে না।
ভীড়ের মধ্যে হারিয়ে গেলে।
আবার আনমনে হাটি,
বাদাম নেই ১০ টাকায়,
ছিলতে কষ্ট হয়, খেতেও স্বাধ নেই
পথশিশুরা নিতে ইচ্ছে করলেই দিয়ে দেই।
আবার বসি কোথাও,  রাস্তার বেদি গুলোতে,
ময়লা জামায় লাগবে তাতে ভ্রুক্ষেপ নেই।
কতক্ষণ বসে রই জানি না।
মনে হয় পাশাপাশি বসে আছি দুজন
চুপচাপ, খুব চুপচাপ।
ক্ষাণিকবাদে পাশ ফিরে দেখি কেউ নেই
কেবল একটা কুকুর দূরে শুয়ে আছে
মতিভ্রম হলে কি এমন হয় নাকি!
জানা নেই।
তখন খুব করে ভাবি,
যেন হুট করেই দেখা হয়,
তবে এক যুগ পর, কিংবা মৃত্যুর ঠিক পর।
এসোনা আর তুমি,
আমার কল্পনাতে এসো না।
আমাকে ছুড়ে দিয়ে চলে গেছ
তাতে দুঃখ নেই,
কিন্তু পাগল বানিয়ে দিয়ো না।
আমি আকাশের মিটি মিটি তারার মত
বাঁচতে চাই না।
আমি মগডালের পাকা আম হতে চাই না।
আমি পার্থিব ভালবাসা চাই না।
আমি কেবল মুক্তি চাই।
আমাকে মুক্তি দাও।
দয়া করে মুক্তি দাও।