একটা শব্দ আমায় জাগায়,
হুট করে তুলে দেয় বিছানা থেকে,
হাত দুটোকে চোখ কচলাতে ঠেলে দেয়,
চোখ মেলার পর সব শুনশান,
শহরের ছোট্ট রুমে,
ঝি ঝি পোকার ডাক পৌছায় না ঠিকি,
আড়শোলা আর উইপোকারা ঠিক ডাকে,
আমার সহজ সরল ভালবাসা নিয়েই
তাদের যত মশকরা,
আমি শুনতে পাই,
বলতে পারো দিব্যকর্ণ প্রাপ্ত হই,
তবে আফিম কিংবা ভাং এর প্রয়োজন পরে না,
আরশোলা আমায় ডাকে,
সখ করে নাম দিয়েছে সামসু,
সামসুর এত সুর কেমনে বেসুর হইলো
এই তাদের ভাবনা।
তাদের চিন্তা হয়, রাত তো বাপু কমনা!
চুরিতে নেমে গেলেই তো মন্দ না।
এভাবেই মশকরা করে আরশোলা।
কতক রাতে জাগিয়ে দেয় অন্যরা,
যাদের প্রাণ আছে ঠিকি,
তবে মন আছে কিনা তা জানি না,
একদিন না বারবার,
হুট করে বসে পড়ি
প্রায় ই ঘুম উভে যায়।
আমি আমার ভাবনাকে হারিয়ে ফেলি,
চিন্তা হয় না নিজেকে নিয়ে।
নিঃশব্দে চোখের জল গড়ায় কেবল,
এই বুজি পথের শেষ হয়ে এলো,
এই বুজি আমি হারিয়ে গেলাম।
এই বুজি আমায় মুড়িয়ে দিলে সাদা খামে,
এই বুজি রেখে দিলে চাবিহীন বাক্স টাং এ,
এই বুজি আমি নিস্তেজ হই,
খুব করে নিজেকে আবারো একটু শক্ত করে,
শুতে যাই, কারন রাত সবে তিনটা কি সাড়ে তিনটা
আবার ভাবনা জন্মায় মনে,
কি হারাই আমি রোজ,
সাড়ে তিনেই তো মুছে যাবে,
ফয়সাল, সামসু কিংবা
ফাঁসির সাজা পাওয়া এক ফেরারিও
নিশ্চিত হবে নিখোজ।