সব মিলিয়ে সুতরাং,
এরপর আবার কি?


একখান গান ধরি তয়?


ধরো, না করিলো কিডায়,
মনডায় চায় ধরি তরে কিলায়,
এই বেলায় কেউ গান গায়!


এমন কর কেন!
আমি তো আর ধরতে চাই নাই,
পরানবালার ঠ্যাং,


এত্ত জ্বালাও কেন তুমি,
এত জ্বালাও যে কেন,
মন চায় তোমার কান মলে দেই,
পারাই তোমার ঠ্যাং।


এর পর তয় চুপচাপ!
কথা নাই কারো!


কতখন বাদে, সে ধরে গান
রাতের ঝি ঝি পোকারা প্রস্তুত,
ধরবে সাথে সুর।
সাথে আছে পেঁচার ধরের শব্দ,
আছে পাতার বাঁশি,
তারারা মন্দিরা বাজিবে,
আকাশে বাজিবে বিহালা,
এভাবেই সপ্তসুরে গেথে যায় তার গান,
এ যেন গান নহে, কেবলই জ্বালার অনল
পিরিতি বাতাস, পিরিত অনল
বহুগুনে বহুগুণে জ্বলে।
নিবে না কোন জলে।
হৃদয়ে ধীরে ধীরে জ্বালায়।


এ প্রেমের গানখানি,
শুনেছে বিনোদিনী হয়তো আমারই মুখে,
আমিতো আর গান জানিনে,
তাই আমারে শোনাতো সে,
পিরিতি পিরিতি,
ইহাতে  বড়ই জ্বালা,
তবুও পাষাণ হৃদয় আমার,
গাথিল প্রেমের মালা।
শেষ ফুলটা গাথিবার আগেই,
ছাড়িল সে আমারে,
শুকালো সে মালা,
আজও কেবলই আমি পুরে মরি,
আহ! পিরিত, তুই
সপ্তসুরের প্রেমের জ্বালা।