পৃথিবী এক বিশাল মহা শ্মশান
যেখানে অবিরাম মিশে যায় প্রাণ
কঙ্কালেরা নৃত্য করে
তাজা লাশের রক্ত পানের তরে
এই নদী বয়ে যায় সাগরের পানে;
নদী কি জানে কতো সাগরের পিপাসা?
পিপাসায় সে কি করে এক নদীর আশা?


মহাশূন্যের মাঝে প্রচন্ড ঝড়ে,
উঠলো সমুদ্র উত্তাল হয়ে
মাঝিরও ইচ্ছে হলো
উত্তাল ঢেউয়ে হারিয়ে যেতে সমুদ্র তলে;
ভালোবেসে ডুবে মরার সাগরের জলে।
মাংসাশী মৎসও মানব দেহের কামনায়
ওঁৎ পেতে থাকে, শৈবালের আড়ালে লুকায়
সহসা তাহার মনে হলো;
দেহখান মাংসাশী প্রানী গুলো করুক ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন
ফসিল হয়েও বেঁচে থাকার শখ না ছিলো,
শেষ দীর্ঘ শ্বাসে
নীল বেদনা মিশে গেলো বাতাসে।


মহাশূন্যের এই ঝড়ে
বাগানের বড় গাছের শাখা গেলো ভেঙ্গে,
হালকা ভয়ে কেঁপে উঠলো মাঝির প্রিয়া
তখন বন্ধ হয়েছে ঘাটের খেয়া
নতুন পুরুষ তো রয়েছে ঘরেতে
কামুক হয়ে ওঠে ঠাণ্ডা পরিবেশে।
প্রিয়ার ভয়ে শান্তনা রূপে আগমন তার
হয়ে ওঠে তারা আদিম খেলায় লিপ্ত
একে অপর কে করে পরিতৃপ্ত!


একই ঝড়ে
পৃথিবীতে ঘটে দুই প্রান্তে,
বিপরীতার্থক দুটো গল্প  
নিকৃষ্ট পৃথিবীতে বাঁচার ইচ্ছে হয় স্বল্প!