আঁধারেতে খেলা করে আলোর প্রেতেরা
এই খেলায় মেতেছে অভিশাপেরা
শব থাকে সোনালী ধান ক্ষেতে পরে
মশারা ভালোবাসে জীবন স্রোত ছেড়ে
মৃত দেহের রক্ত স্রোত।


এ প্রকৃতি- নদীর কলকল আওয়াজ
একবারও কি করলো না বারণ?
জোনাকির দল কি বন থেকে এসে
ঘিরে ফেললো না মায়ার বেশে?


প্রেম, পরিবার, গৃহ-অর্থ নহে
জীবনের সব খানি
শিরায় শিরায়; আত্মায় দৌড়ে চলে,
এক আশ্চর্য ক্লান্তি
মৃত্যুতে নেই সে ক্লান্তি
তাই তো শব হয়ে রয় পরে।


সে রাতে হলো জীবনের শ্রেষ্ঠ ঘুম
পারবে না বেদনা জাগাতে, হবে না করুণ
অনুভূতিহীন বোকা প্রেমিকের শবদেহ
নিয়তির পাথর ঘষে জ্বালানো অগ্নিকুণ্ডে
ছুড়ে ফেলে দাও সাদা কাফনে মুড়ে  
উড়িয়ে দাও বাতাসে পড়ে থাকা ছাই
আসুক না অভিশাপ; কোনই লাভ নাই।


দুরের অধরা তারার মতো চমকিয়ে
গ্রাস করলো তার একাকীত্ব ধরিত্রীকে,
তার প্রতি ধরার সকল ভালোবাসা
তলিয়ে যায় মহাকালের চোরাবালিতে।
অসম্পন্ন বইয়ের শেষ পৃষ্ঠাই হলো
জীবনের এক পূর্ণতাহীন গল্প যেনো,
এই গল্পের আদ্যপ্রান্ত চাও জানতে?
ঘুমিয়ে যাও শবের পাশে তাহলে,
গল্প হলো এক ঘুম, মোড়ানো দুঃস্বপ্নে।