আল্লাহর সৃষ্টি অনেক জগৎ
ধীরে ধীরে সব গ্রাস করেছে
একটির অধিবাসী মানুষ।


এখানে একটি জগৎ ছিল
থৈ থৈ পানি শিহরণ জাগায়ে
কত ঢেউ খেলে যেত
আমিও দুলতাম ডিঙি নৌকায়
ভেসে চলতাম কলার ভেলায়
নিতাম এ জগতের অধিবাসীর
রুপ রস গন্ধ।


হ্যাঁ মনে পড়ে শামুকের ডিম
শুভ্র সাদা হাজার প্রাণ
বালু খুঁড়লে কচ্ছপের ডিম।
ধানের বীজ তলায় বুনো হাঁস
আর চখা পাখি
দাওয়াত খেতে কত আসতো,
সোনালী ব্যাঙ গলা ফুলে
সমস্বরে জারি গাণ গেত
ঝিঁ ঝিঁ পোকা সন্ধ্যা বেলা
দাপিয়ে বেড়াতো গাঁয়ে
কলমি লতা, শাপলা শালুক
ফুলের ডালা সাজায়ে
পাতার বিছানা মেলে
হিম হিম বাতাসের
দোল দিত আমায়
ডাহুক ডেকে ডেকে
আমায় জানান দিতো
খেলতে যেতে হবে
মাছের কিল বিল রূপ
রুপালি আঁশে মুগ্ধ হতেম
হাজারো পোকা নিজ নিজ
আঙিনায় খেলতো, দুলতো
কানা বক শান্তি বিলীন
করতে আসলেই জোঁক
ওর পায়ে লেগে ধীরে ধীরে
রক্ত খেয়ে উদর পূর্তি করে,
বুঝতেই কী যে ছটফটানি
এখন স-ব বন্ধ।


সেসব এখন নিষ্ঠুর
মানুষের পৃথিবী
কে কাকে ঠকাবে
আঘাতের গোঙানির
শব্দের ছন্দে নৃত্য
প্রতিটি ক্ষণ চলে
ইট পাথরে ঢেঁকেছ
শান্তি কী এনেছ?
সবুজ বিলীন করে
এনেছ লাল
বাতাস বিলীন করে
এনেছ কার্বন পথ
ফিরে দাও সে জগৎ
মানব ধ্বংসের পথে
তাদের অভিশাপে।।