শর্ষে ফুলের ঘ্রাণ সারা বাড়ি,
মৌ মৌ গন্ধে উঠান জুড়েছে
খড়ের পালায় সুবাস ছেড়ে
আতর বিছালী মন কেড়েছে।
গাছের নি:শ্বাস শীতল হাওয়া,
গরুগুলো হাম্বা হাম্বা ডাকে
জানান দেয় তাদের চাওয়া।
কি অদ্ভুত মধুময় কলতানে
পাখির কিচিরমিচির
শুধালাম মায়ের কাছে
এসব কিসের কলতান?
মা আমায় বলো,
মা বলে এ সবই আমার ভাষা
বন্ধ করতে পারেনি কেহ।
অ আ ক খ শিশুদের সুর
সে সুর কি মধুর
অনেক রক্তের দামে কেনা এ বিধুর
এ ভাষা তোর জন্য কিনেছি
অনেক যত্নে রেখেছি ।
বাবা তুই বেড়ে উঠবি এসবের মাঝে
ডুবায়ে কোমল দেহ।
আমি সাঁতরে চলি পাড়ি জমাবো
তার ওপাড়ে
জল ছলাত করে বলে
সুরের মূর্ছনায় সাঁতরাও
যাবে কোন্ পাড়ে?
আমি খুঁজে পাই ভাষা
বাংলা আমার ঘাড়ে।
গাঙ চিল সপাত সপাত
উড়ে বক নীল দিগন্তে
পানিতে ডুব দেয়
আপন ভাষার খোঁজে,
বড় ক্ষুধার্ত, বড় তৃষ্ণার্ত
সব গিলে খাবে
খেতে পারেনা মাছের ফুলকার
শব্দের ছন্দে কি যে মনোহর
ব্যাঙ বেলুন ফুলিয়ে
গেকু গেকু গাণ শুনায়
সব ক্ষুধা, তৃষ্ণা দূর হয়।
উড়ে যায় দিগন্তে
নীলিমার কাছাকাছি
মেঘমালা ছায়া দেয়
নিজেকে ছন্দে হারায়
শিমুল লাল হয়ে ফুটে
জানায় এ মূল্যে
কেনা হয়েছে তোমায়,
তৃষ্ণা মিটাই এর মাঝেই
পুষ্টি নিবারণ কায়ায়।।