জীবন একটি ইতিহাস
আমি গর্বিত সে ধারায়
চলছে আমার জীবন
বাবা তোমার মতন।
আমার বাবা তোমাকে
দেখেছি হারামের সাথে
কখনো আপোষ করনি
শুভ্র সাদা চাঁদ মাখা মুখ
একটি ভাঙা সাইকেলে চড়ে
সংসারের ঘানিটানার সুখ!
নিতে বদন থেঁতো হয়ে পড়ে
ঘাম দর দর করে ঝড়ে
বাঁশতলায় শীতল পাটি বিছিয়ে
একটু গা জুড়াতে
আমি তোমার হাতে মাথা রেখে
শুতাম নানান অজুহাতে
আমি ঘামের ঘ্রাণ নিতাম
কী সুঘ্রাণ তা মেশক আম্বর
মুখের দিকে তাকিয়ে দেখি
তোমার ক্লান্তি নিমিষেই শেষ‌।
আমাকে সাইকেলে তুলে শত
শত পথ পাড়ি দিছ,
তোমার হৃদ কম্পন যেত বেড়ে,
আমি সামনে বসে অনুভবে ধীরে,
আমার মাথায় এখনো দোল দেয়
সে সব কিছু।
বাবার ঘরে যে পাথর মারে,
তার সাথেই কেমন হাসে
আমি অবাক হতাম,
বিস্ময় নিয়ে বলতাম!
এটা কেউ করে?
তুমি বলতে হিংসা আল্লাহর
চাদর, কখনো বলো না আর,
রাস্তার ধারের পটল এনেছি
ভর্তা করে খাব বলে,
খাবার সময়ে দিয়েছ ফেলে,
সপাৎ সপাৎ পিঠে চাবুক
দিতে করোনি দ্বিধা,
বাবা জানো! আজো কারো
অনুমতি ছাড়া একটি ফলও  
খাইনি এ মুখ।
প্রতিদিন কোরান পড়তে যত,
নির্দেশ বসে বসে শুনবে তত,
আবার নিজ হাতে শিখালে তা,
আল্লাহর বাণীতে আছে যা।
নামাজ কাযা করায়, কাঁচা
কঞ্চির আঘাতে দূরহ ছিল বাঁচা,
আমার অসুখ হলেই বসে কাঁদতে,
তা আমি দেখতেই তা লুকাতে,
আল্লাহ তাঁকে তুমি দিও তেমন,
শিশুদের যেরুপ করেছেন লালন।।
(সংক্ষিপ্ত)