জীবন সুতোর নাটাই দিয়ে যাত্রা হয়েছিল শুরু।
তাই কখনো উত্তর মেরু, কখনো দক্ষিণ মেরু-
বাতাস যেদিকে ধাবে আমায়, আমি সে পথ'ই ধরি।
আমি দোদুল্যমান- আমি ঘুড়ি হয়ে উড়ি।


কখনো ধ্রুব, কখনো অসাম্য গতির আদলে,
পুব থেকে পুবাচলে, ছুটি ভীষণ বায়ু-বলে।
কখনো আবার দমকা হাওয়ায় উল্টো পথে ফিরি।
আমি অ'স্থির- আমি ঘুড়ি হয়ে উড়ি।


কখনো ঝড়ে তুমুল ছুটাছুটি ; দেহ কাঁপে থরথর।
ক্ষান্ত ভীষণ হই আমি, তবুও প্রতিবাদে নিথর।
ঐ ঝড়ের সঙ্গে টক্কর দেবার সাধ্যে নুয়ে পড়ি।
আমি নগণ্য- আমি ঘুড়ি হয়ে উড়ি।


কখনো ফের অবিরাম বৃষ্টি, সৃষ্টি হয় মাথার উপরে।
অতি শীর্ণ কাগজের দেহ মোর, ভিজিয়ে দেয় অচিরে।
নিরীহতা দেখে, শুকায় সূর্য ; আবার সেই দেয় তাপে পুড়ি।
আমি প্রবঞ্চিত- আমি ঘুড়ি হয়ে উড়ি।


কখনো হঠাৎ জমি বড় ভাব, আমি ওই বাতাসে।
তার আলম্বেই, নিশানের দৃষ্টি মেলে ধরি ঊর্ধ্বাকাশে।
ও বাতাস ধাবে উর্দ্ধমুখে কিন্তু নাটাই দেয় না ছাড়ি!
আমি সীমাবদ্ধ- আমি ঘুড়ি হয়ে উড়ি।


সবের মাঝেও আশা করি, 'একদিন বায়ুর প্রাবল্য ভারে,
নাটাই যাবে ছিড়ি, আমিও যাব মহাশুন্যের দ্বারে।'
তখন উড়ব স্বেচ্ছায় অবিরাম, হব ইচ্ছে-ঘুড়ি।
আমি আশাবাদী- আমি ঘুড়ি হয়ে উড়ি।