কাজে করে হেলা কেটে দিচ্ছ বেলা জগত সংসারে।
গোসল ভোজন আড্ডা ও নিন্দন বেধেছে তোমারে।
চিন্তা নেই আর মস্তকে তোমার প্রশান্ত জীবন।
বিভোরিত ঘুমে অথবা নির্ঘুমে শুধুই স্বপন।
ডায়েরী-পাতায় লেখা না ফুরায় তব প্রত্যাশার।
মিষ্টি কৃষ্টি গল্প অবিরাম জল্প সহিত সবার।


বেকার জীবন বড়ই লাঞ্ছন তা তুমি বোঝনি?
তোমায় সকলে ভবঘুরে বলে তা তুমি শোননি?
নামের সীমায় স্ব-কর্ম সুধায় সকল মানুষ।
তা এত শুনাই এতটা বুঝাই তবু নেই হুশ!
কখনো ভাবনি কখনো দাওনি সময়ের মুল্য।
কিছুই সাধনি নিজেকে করনি বিজয়ীর তুল্য।


মানুষ্য জীবন ব্যাপিয়া মরন কিছুটা সময়।
শিক্ষা ঘুম ধর্মে ও মৌলিক কর্মে যত ব্যয় হয়,
তা দিলে বিয়োগ কাজের প্রয়োগ নগন্য সময়।
এ সময় যদি তবু নিরবধি নষ্ট করা হয়,
সব তবে তার হবে অন্ধকার আসবে প্রলয়।
হবেনা মহান পাবেনা সম্মান পালাবে বিজয়।


পৃথীবির পৃষ্টে সদা চক্ষু-দৃষ্টে কম নেই কাজ।
হাটে, খেয়া ঘাটে, নিজ বাড়ী-মাঠে কর কাজ সাঁজ,
বুঝবে ধরনী সময় করনি নষ্ট তবে আজ।
তোমারও মনে করবে সে ক্ষণে স্বস্তিরা বিরাজ।
কাজ করো যাই সম্মানের তাই তাই তোষামোদ।
কাজ মাপ করে যারা হেয়ো করে তারাই নির্বোধ।


আজিকে হয়ত তুমি কাজে নত কেউ ভাবে তুচ্ছ।
প্রচেষ্টা করবে তুমিও পারবে পদে হতে উচ্চ।
ধরা নয় স্থির তুমিও অস্থির জীবন আলোয়।
খুঁজে নাও সিড়ি ওঠো বেয়ে গিরি চুড়া হবে জয়।
চারিপাশে দেখো প্রয়োজনে শেখো কর্মের কৌশল।
তব সে আশক্তি এনে দিবে সত্যি সুন্দর সুফল।


রূপ সজ্জা নয়, পিতৃ ধন নয়, গৌরব জীবনে।
প্রকৃত গৌরব কর্মের উদ্ভব সমাজ-জীবনে।
প্রভু রূপ-জন পিতা পিতৃ ধন করেছেন সৃষ্টি।
কৃতি তাতে তব শুন্য তা বলব দিয়ে জ্ঞান-দৃষ্টি।
নিজে কিছু করো ভাল কিছু করো সবার'ই তরে,
সবে যাতে তায় জপে প্রশংসায় ধন্য হবে মরে।


★বিঃ দ্রঃ উল্লেখিত কবিতাটিতে স্তবক সংখ্য ৬, প্রত্যেক স্তবকে চরন সংখ্যা ৬ এবং প্রত্যেক চরণ ৬ মাত্রার পর্ব। অর্থাৎ প্রত্যেক চরণের মাত্রা সংখ্যা ৬+৬+৬=১৮ (অক্ষর বৃত্ত ছন্দ)। স্তবকের সাথে ভাবের পরিবর্তন লক্ষ্যনীয়। প্রত্যেক দুইটি চরণের অন্তমিল এবং প্রত্যেক দুইটি পর্বের অন্তমিল ১০০%। ত্রুটি থাকলে অনুগ্রহ করে বলবেন।