ও ঘোমটা পড়া মেয়ে,
মাথায় কেন ঘোমটা দিয়ে,
আমার দিকে আসছ ধেয়ে ধেয়ে?
ও ঘোমটা পড়া মেয়ে,
আমি দেখেছি তোমার পার্শ্বে দাঁড়িয়ে,
সশঙ্ক যেন অহেতু ভেবেছ বাড়িয়ে।
ও ঘোমটা পড়া মেয়ে,
স্বাধীন দেশে স্বাধীন গান উঠবে তুমি গেয়ে।
চলবে তুমি অধির ভাবে নয়কো সংশয়ে।
ও ঘোমটা পড়া মেয়ে,
হয়ত থাকব তোমার পানে একটু খানি চেয়ে।
তাই কি তুমি আসছ ধেয়ে মাথায় ঘোমটা দিয়ে?
ও ঘোমটা পড়া মেয়ে,
তাকিয়েছ তুমি মাথা নুয়ে, দৃষ্টি রেখা পায়ে।
হেঁটেছ তুমি বই খাতা বক্ষে তুলে নিয়ে।
ও ঘোমটা পড়া মেয়ে, নব বসন্তের সজ্জিত গাঁয়ে,
একটুখানি হাসি দিয়ে, কোথায় গেলে হারিয়ে?
ও ঘোমটা পড়া মেয়ে,
মন যে ব্যাকুল, বড়ই অস্থির তোমায় না পেয়ে।
মনের যুদ্ধ বড়ই যুদ্ধ, ছুটছি দিগ্বিজয়ে।
ও ঘোমটা পড়া মেয়ে,
দর্শন দিয়েছ, মন কেড়েছ অতই নির্দ্বিধায়ে।
কি পাব আমি? কি পাব বল এর রপ্ত দ্বায়ে।
ও ঘোমটা পড়া মেয়ে,
ভাললাগার সব বর্ণ ছুয়ে,
ভালবাসার সব বাঁধন নিয়েছি তোমায় বাঁধিয়ে।
ও ঘোমটা পড়া মেয়ে,
আমি দাঁড়াতে চাইনা তোমার যাত্রা-পথের অন্তরায়ে।
শুধু এগুতে চাইছি, তোমার পথের সঙ্গী হয়ে।
ও ঘোমটা পড়া মেয়ে,
ভালবাসার পসরা সাঁজিয়ে,
বধূর ভুষনে রাঙ্গিয়ে,
অপেক্ষা করবে আমার জন্য, ঐ ঘোমটাকে আকড়িয়ে?
ও ঘোমটা পড়া মেয়ে,
চলবে সেদিক, যেদিক তোমার মন-মাঝি নিয়ে যাবে বয়ে।
তবে আশায় রইলাম, ইতিবাচক কিছু দিবে আমায় জানিয়ে।