চোখের সামনে ক্ষত-বিক্ষত হতে দেখি অসহায় মা'কে...
পুড়তে দেখি পাপ-লোভী দুর্বৃত্তদের নোংরা-কালো আগুনে...
তবুও কেন ঝড় ওঠে না আমার শিরায় শিরায় প্রবাহিত লোহিত সাগরে!
অণু-পরমাণুতে বিশ্লিষ্ট হয়ে কেন বিষ্ফোরিত হয় না হৃদযন্ত্রটা...
...অস্বীকার করছি না,
দুধের বদলে 'পামঅয়েল' পিয়েও হয়তো বেঁচে থাকতে পারতাম!
কিন্তু নিয়তির নিষ্ঠুরতম প্রতারণার শিকার হবার মতো-
যোগ্য প্রতিপক্ষ হয়ে উঠতে পারিনি তখনো...
জীবনদায়িনী-অতুলনীয় 'অক্সিজেন' পেয়েছিলাম নির্বিঘ্নেই...


নিরব ভালোবাসার সে আজন্ম দায়, সরবে অনুভূত হওয়া সত্ত্বেও...
দুর্বিষহ ঐ হৃদয় এবং গগনবিদারী চিৎকার কম্প,
কেন যে ক্রোধের বিধ্বংসী দামামা বাজায় না আমার কর্ণকূহরে!
সেই যন্ত্রণাক্লীষ্ট বেদনাহত মুখ থেকে বিচ্ছুরিত রশ্নি,
কেন পুড়িয়ে দেয় না আমার দর্শনানুভুতিকে!
অনাদায়ী দায়িত্ব বিদায়ের দায়ে প্রজ্জ্বলিত হওয়ার এমন অভূতপূর্ব সুযোগ-
কখনো তো দ্বিধার দেয়ালে থমকে যাওয়ার কথা ছিলো না...!


যেখানে আমার বজ্রকন্ঠের উত্তাপে ছাই হওয়ার কথা স্বয়ং সূর্যের,
সেই আমিই কিনা- অস্পষ্ট কোন ছায়া হয়ে দাঁড়িয়ে থাকি!
সুকরুণ কাতর আর্তনাদকে উপেক্ষার বিষে ভিজিয়ে,
সুখস্মৃতির রঙ্গিন বোতলে দীর্ঘ চুমুক দেই,
হয়তো সুদর্শনা কোন ললনার দিকে আনমনে চেয়ে-
টলতে টলতেই কুড়িয়ে নেই, অনুপ্রাণিত হওয়ার নির্যাস,
বহুরূপী অক্টোপাসের মতো দ্রুত পাল্টে ফেলি ভাবনার রং...


না...আমি কখনো দেশপ্রেমিকই হতে পারিনি!
নূর হোসেন-সকিনা বা ফেলানী-দের জন্য জমাটবাধা ক্ষোভ,
সর্বোচ্চ এক মুহূর্তের জন্যই আবিষ্ট করতে পারে আমাকে...
নির্লজ্জ শোষকদের হিংস্র উন্মত্ততার প্রতিবাদ করি...
একান্তই গোপনে...মনে মনে...
নিতান্তই মগজহীন, গন্ড-মূর্খদের-
রাতারাতি...আস্ত একটা 'বুদ্ধিজীবি' হয়ে ওঠা উপভোগ করি...!
"কাপুরুষ শ্রেষ্ঠ" পদকে ভূষিত হতে আর বেশি দেরী নেই... !!!