"ভালোবাসা" হয়তো-
টাকার উঁচু কোন পাহাড়-বিলাসবহুল চকচকে গাড়ি-
কোহিনূর খচিত আংটি-সুরম্য বিশাল কোন অট্টালিকা-
অথবা অনিন্দ্য-অপরূপা-নীলাঞ্জনা-দের পাশে-
খুব সহজেই জায়গা করে নেয়ার দুর্লভ ক্ষমতার অধিকারী...
কিন্তু কৌতুকপ্রিয় প্রকৃতির নিদারুণ নাটকীয়তা...
এমন অভূতপূর্ব ধোঁয়াটে এক মুখোশের আড়াল নিয়ে আবির্ভূত হয় সহসাই-
যখন মুঠোবন্দী আকাশের ঐ চাঁদটাকেই, ছুড়ে দিতে ইচ্ছা করে আস্তাকুড়ের নোংরায়...
আর জন্ম নেয় আনকোরা-নতুন নতুন সব লোভ...


তবুও...
প্রচন্ড স্বার্থপর এ ধরণীর অলৌকিক বৈচিত্র্যতাকে মনে রেখেই, নির্দ্বিধায় বলছি-
নিয়তই "মা"-কে পাশে পাওয়ার তীব্র আকাঙ্ক্ষা,
কোনদিনও ব্যাকুল করেনি যাকে,
আজও এমন একটা ব্যাতিক্রমী "পাষন্ড"-কে খুঁজে পাওয়া-
উঁচু ঐ হিমালয়ের সমান পঞ্চাশটা খড়ের গাদায়,
একটি বিশেষ "রূপালী ফলার সোনালী সুচ" খোঁজার মতই দুঃসাধ্য কোন ব্যাপার...


"মা" হয়তো "ভালোবাসা"-র একটা যথার্থ প্রতিশব্দ হতে পারতো...
কিন্তু যুগান্তরের সহজলভ্য ভালোবাসা-রা এখনো-
ততোটা যোগ্য হয়ে উঠতে পারেনি...
সাজতে পারেনি নিরাপত্তা আর নির্ভরতার অমূল্য অলঙ্করণে...
"মা"-র মতো অতিন্দ্রীয় একটা শব্দের সমার্থক হতে হলে,
শুধু মুখে তুলে খাইয়ে দেয়া নয়, তার চেয়েও অনেক বেশি কিছু চাই...
তাই "ভালোবাসা"-র শাড়ি পড়ে "মা" আরো বেশি মায়াবতী...
আর বিবর্ণ "ভালোবাসা"-রা "মা"-র শাড়িকে শরীরে ধারণের অসীম অপেক্ষায়...


আশ্চর্য এক সঙ্কোচের স্বার্বক্ষণিক উপস্থিতি,
অবিরাম বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে...কখনোই বলা হয় নি...
কতোটা ভালোবাসি তোমাকে...!!!
তারপরেও আমি নিশ্চিত জানি...বলার প্রয়োজনও ছিলো না কখনোই...
আমার নিঃস্বাসের শব্দ থেকেই জেনে নিতে নিশ্চয়ই...
"ভালোবাসা বিবর্জিত" এই আমিও অতো বড় "পাষন্ড" ছিলাম না কখনোই!