শহুরে আকাশ ছোঁয়া দালানের উঁচু ছাদ ছুঁয়ে...
শ্যাওলার প্রলেপ মাখানো পুরনো দেয়ালের গা বেয়ে...
অঝরে নেমে আসা বৃষ্টির স্বচ্ছ শীতল ফোঁটাগুলো,
প্রতিনিয়তই দাগ কাটে নতুন করে...
অব্যার্থ অনুরণন তোলে আত্মার অনন্ত গভীরে...
মনে করিয়ে দেয়-
কতোদিন গর্জন প্রিয় কোন বিধ্বংসী নদীর প্রচন্ড স্রোত
আমার কর্ণকূহরে বাজায় না মুক্তির দামামা!
পরিতৃপ্ত চোখ দু'টোকে বেঁধে রাখে না সাম্পানের লাল পালে!


কন্ঠভেদী দুরন্ত অট্টহাসিটাও পায় না রাজপথে নামার যথার্থ কোন উপলক্ষ্য...
ঘাসের মোড়কে জড়ানো তেপান্তরের বিস্তির্ণ মাঠটা-
বুড়িয়ে গেছে আরো...
বাঁধ ভাঙ্গা উল্লাসে চিৎকাররত দুষ্টুছেলের দলও
ভাঙ্গাতে পারে না তার অবিনাসী ঘুম।
অমাবস্যায় হারানো চাঁদ আর জোনাকীদের সুক্ষ্ণ ষড়যন্ত্রে অন্ধ আমি...
ঝাঁকড়া চুলের শ্যাওড়া গাছটার পাশ দিয়ে বয়ে চলা
পথটাকে ভুলে গেছি সেই কবে!


আমার চোখের তারায় বাসা বেঁধেছে ধূলোর ঘূর্ণীঝড়...
ঝকঝকে সুনীল আকাশটা যেন গাঢ় রঙের রুমাল,
কখনো চপলা অরণ্যের সবুজ প্রিয় আঁচল...
নিদারুণ আমার এ নয়ন যুগল,
ধূসরকেই আলিঙ্গন করে বেঁচে থাকে কেবল...!!