উপস্থিত সকলেরই এক হাত মুঠিবদ্ধ, অন্যহাতে রুলটানা নতুন চকচকে খাতা
তুষারকন্যাদের সাদা শাড়ি যেমন বেগুনী সুতো এফোঁড়-ওফোঁড় করে চলে তেমনি একটা আনকোরা বেগুনী কালিতে রুলটানা শুভ্র খাতা
লাইনগুলো সোজা হওয়া চাই। এবং অবশ্যই, সমান্তরাল...
সবারই সোজা-সমান্তরাল 'রেললাইন' চাই...
চিরকাল যেটা সোজাই ছিল এবং একই সাথে সমান্তরাল...
যদিও সেই পুরাতন সংবিধানই এখন আরও অনেক কঠোর
লাইনগুলো সোজা হওয়া চাই। সমান্তরালও...
অতঃপর আমার জীবন-কাহিনীও লেখা হতে থাকে...
যথারীতি আঁকাবাঁকা-অসমান্তরাল লাইনই হবে...
আপাতত এমনটাই ভাবতে থাকুন...!
ইতিহাস সত্য সাক্ষী দেয় বটে তবে মিথ্যা গর্বও করে...
অদ্ভুতুড়ে এই প্রাপ্তি-কাহিনী যতোই আমি অন্য কালিতে লিখিনা কেন, কালই তা ইতিহাসের সাক্ষ্য বনে যাওয়ার অভিনয় করতে পারবে।
এ কাহিনীকল্পের কাগজটাকে হয়তো পরশুই কেউ মোচড়ানো গোলক বানিয়ে ছুড়ে দেবে ঘরের ঐকোনায়,
তারপরদিনই হয়তোবা কেউ মৃত্যুর শীতলতায় ধীরে ধীরে ফুরিয়ে যাবার আগেই
সদ্য প্রাচীন এই অর্বাচীন কাগজ পুড়িয়ে কুড়িয়ে নেবে জীবনের উষ্ণতা...
একসময় কাহিনীর প্রথম লাইন ঠাঁই করে নেয় ইতিহাসের প্রথম পাতায়
রেললাইনের আকাশ সীমানাকে এভারেস্ট বানিয়ে অতিকাহিনীর প্রথম বর্ণটা নিজেই হয়ে ওঠে তেনজিং...
শেষ বর্ণটা আর্মস্ট্রং এর নীলচে চোখকে ঘোলা করে উষ্ণ জলে, অবশেষে পা রাখে পাতালে...
লাইনগুলো জীবন-কাহিনী হলেও জীবনের মতো নয়
তারা ঠিকই সোজা-সমান্তরাল রেললাইনের মতোই বয়ে যায়...