এলোকেশ ছড়িয়ে মায়াদেবী
বসে ছিল মধুমতী নদীর তীরে,
হস্তে কঙ্কণ ছিল না আলতার অঙ্কণ ছিল না
শুধু হরিদ্রা রঙ্গের একটি ফুল ছিল/
.
এলো কেশ গুলো দুলছিল
নাসিকা ভালবাসার সুঘ্রাণে ফুঁসে ছিল,
অক্ষির তারকা মিটমিট করে জ্বলে ছিল
দন্তের চিকনাইয়ে সবিতা মেঘ রাজ্যে পলায়ন করেছিল
আরক্তিম ওষ্ঠ কি যেন কি বলছিল?
.
আমি কিছু শুনিনি
মায়াদেবীর বচন কর্ণকুহরে পৌছায় নি!
তার কন্ঠহার ছিল না
মাথার টিকলি ছিল না,
পায়ের মল ছিল না
মাজার বিছে ছিল না/
.
তবুও অপরুপ কি যেন ছিল
তার কহ্লারময় বদনখানিতে!
তার এমন হেমাঙ্গ দেখে
আমি বুঝতে পারছিলাম না
কি করব,কাছে যাব না দূরেই থাকব!
হঠাৎ মায়াদেবীর কলহাস্য দেখে
করোটি কবোষ্ণ হয়ে উঠল
কি করব ভেবে পাচ্ছি না?
.
কস্মিনকালেও এমন তিলোত্তমা অঙ্গনা কে দেখিনি
যা কহতব্য নয়,
আমার কান্ড জ্ঞান লোপ পেয়েছিল
যাব কি মায়াদেবীর কাছে
,
বারংবার নিজের মন কে প্রশ্ন করেছিলাম
কায়া হায়া হারানোর ভয়ে ক্লেশে
নুয়ে পড়ছিল/
.
হঠাৎ দেখি আমার মায়াদেবী নেই
কার যেন হস্ত ধরে পদব্রজ করছে
,
আর খিল খিল হাসছে
হস্তের হরিদ্রা রঙ এর ফুলটি নেই
আমি কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে অপাঙ্গ দৃষ্টিতে
তাদের অবলোকন করতে লাগলাম?
.
বুকে কে যেন হাপর - কার্তুজ চালিয়েছিল
নিজেকে কব্জা করতে পারলাম না
ক্রোধানলে চিৎকার করে উঠলাম কেউ নেই পাশে
পর্যঙ্কে একা শুয়ে আছি
আর চোখের জল অনর্গল প্রবাহিত হচ্ছে/